আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সুমী বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের মোমেনিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা হতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের সৌদি প্রবাসি মো. মোশারেফ হোসেন হাওলাদার এর এর স্ত্রী। সুমী বেগম ঢাকার উত্তরার রানাভোলা নিশাত নগর এলাকার বাসিন্দা মো. কবির হোসেন এর মেয়ে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার কালিকাবাড়ি গ্রামের মো. নূর হোসেন হাওলাদার এর ছেলে মো. হোসেন গত আট বছর ধরে সৌদিতে কর্মসূত্রে বসবাস করছেন। গত পাঁচ বছর আগে ফেসবুকে ও মোবাইল ফোনে ঢাকার উত্তরার রানাভোলা নিশাতনগর এলাকার বাসিন্দা মো. কবির হোসেন এর মেয়ে সূমী বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত চার বছর আগে ঢাকায় তারা বিয়ে করে । গত তিনবছর আগে প্রবাসি মোশারেফ হোসেন তার স্ত্রীকে মঠবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে তুলে আনেন। গ্রামে থাকতে তার কষ্ট হচ্ছিল বলে প্রবাসি স্বামী মোশারেফ স্ত্রীকে মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বাসা ভাড়া করে রেখে আবার সৌদি চলে যান। ওই ভাড়াটিয়া বাসায় গৃহবধূ একাই বসবাস করতেন। গতকাল পারিবারিক বিষয় নিয়ে মোবাইলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। সকাল থেকে দুপুর অবধি ওই বাসায় কোনো সারা শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী বাসিন্দারা তাকে ডাকাডাকি করে সারা না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা থানা খবর দিলে পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বাসার দরোজা ভেঙে প্রবেশ করে গৃহবধূ সুমীর ঝুলন্ত লাশ দেখেতে পান।
গৃহবধূর দেবর মাছুম হাওলাদার বলেন, ভাবি তিনবছর ধরে ভাড়াটিয়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। সে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। কি কারনে এমন হলো কিছুই আমরা বুঝতে পারছিনা।
এৃত গৃহবধূর ভাই সজীব হোসেন বলেন, আমরা কিছুই জানিনা। দুপুরে খবর পেয়ে বোনের বাড়ির উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিয়েছি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার কওে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
