ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - শহীদ সওগাতুল আলম সগীর আমাদের বিপ্লবের বাতিঘর

শহীদ সওগাতুল আলম সগীর আমাদের বিপ্লবের বাতিঘর


দেবদাস মজুমদারঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের আহ্ববায়ক , সুন্দরবন উপকূলে মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ পুরুষ ,ভারতের আমলানি মুক্তিযোদ্ধা যুব প্রশিক্ষন ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ,গণ পরিষদ সদস্য ,বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি ,সার্জেট জহুরুল হক (,ইকবাল হল )হলের ভি পি সর্বপরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন মঠবাড়িয়া আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠতা শহীদ সাওগাতুল আলম ভাইয়ের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

১৯৭৩ সালের আজকের এইদিনে মঠবাড়িয়া শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠের কাছে রাত পৌনে নয়টায় একদল দুষ্কৃতিকারীর বুলেটে তিনি শহীদ হন। আর আমরা স্বজনহারা হই। তিনি আমাদের বিপ্লবের বাতিঘর।
এ মহান নেতার প্রতি ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। 🌿

শহীদ সওগাতুল আলম সগীর উপকূলীয় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক ও গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া থানা স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি । ইতিহাস সাক্ষী আছে। মানুষের প্রাণপ্রিয় এক অনন্য নেতা তিনি। কী দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এ মহতী মানুষকে অকালে হারিয়েছি। নির্মমতার জিঘাংসা তাঁকে বাঁচতে দেয়নি। দেশবিরোধী আততায়ীরা নিজভূমে তাঁকে বুলেটবিদ্ধ করে হত্যা করে।

স্বাধীনতাকামী জাতির ইতিহাসের দায় আছে। দায় আছে প্রজন্মের কাছে। দেশ ও জাতি গঠনে মহান মানুষের প্রতি আমাদের দায় আছে। দেশ ও মানুষের প্রতি দায় আছে। কেননা আমরা উত্থানের ইতিহাস আগলেই বাঁচি। স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে বাঁচি। দলীয় স্বার্থ নয়, দেশ বিবেচ্য বিষয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ দেশের জন্যই হয়। দেশপ্রেমিক বীরের রক্ত কখনও বৃথা যায় না। যেতে পারে না। আমাদের বীরদের রক্তদানও বৃথা যাওয়ার নয়। শহীদ সওগাতুল আলম সগীর সেই বীর। জননন্দিত মহতী এক মানুষ।

১৯৭৩ সালের ৩রা জানুয়ারি সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া থানা থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে আসছিলেন তিনি। হাইস্কুল সড়কের ওপর (বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের পাশে) স্বাধীনতাবিরোধী একদল দুষ্কৃতিকারী এই মহান মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। পরিকল্পিতভাবে বুকের ওপর অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে দুর্বৃত্তদল। গুলিতে তাঁর বুক বিদীর্ণ হয়। রক্তস্রোত গড়িয়ে পড়ে সড়কজুড়ে। নিহত নিথর সেই মহতী মানুষের দরদী শরীর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছিল সেদিন । আর আমরা সেই কাল সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়ার অসীম জনপ্রিয় নেতাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলি। অভিভাবক, ভাই ও স্বজনহারা হই আমরা। আমাদের শোকের আয়ু দীর্ঘ হয় না। আর এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারও হয় না। জাতি দুর্ভাগা হলে এমনই হয়। তবু বিস্মৃত হয়না বীরের রক্তস্রোতধারা ।
এই সত্য ও সুন্দর আবহমান অনন্তকাল ……।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...