প্রিয় মঠবাড়িয়াবাসী,
এ আহবান আপনার অনুভুতিতে আবেদন তোলার আহবান।এ আহবান আপনার সুপ্ত হৃদয় জাগ্রত করার আহবান।
প্রিয় ভাইয়েরা,
আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্কুলকে কেন্দ্র করে আজ যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে তা শুধু আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের আন্দোলন নয়।এ আন্দোলন আমাদের জনপদের প্রতিটি ছাত্রের আন্দোলন,প্রতিটি মানুষের আন্দোলন।
তৎকালীন শিক্ষানুরাগী এবং সমাজ সেবক খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার এবং জনাব লতীফ সাহেবের চেষ্টায় কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশন স্কুলটি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।স্কুলটি আজ ১০০ বছরের দ্বার প্রান্তে।প্রায় ১০০ বছর ধরে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অত্র জনপদ এবং এর পার্শ্ববর্তী জনপদকে আলোকিত করে রেখেছে।আমাদের প্রজন্ম থেক প্রজন্ম সকলেই এই স্কুলের ছাত্র।
এবার মূল কথায় আসা যাক-
এই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোস্তাফিজুর রহমান একজন শিক্ষিত লোক কিন্তু কোনভাবেই সুশিক্ষিত নন।সে স্বভাবে দাম্ভিক এবং মাস্তান প্রকৃতি।কথায় কথায় অন্যের গায়ে হাত তোলা কিংবা কিল-ঘুষি মারা তার সহজাত।২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে যোগদানের পর থেকে এই সুশৃংখল স্কুলটিতে নানা ধরনের বিশৃঙ্খল তৈরি হয়ে আছে।তার কুশিক্ষা স্কুলকে আজ অপয়া বানিয়ে রেখেছে।স্কুলের যে বাসভবনে অন্যান্য প্রধান শিক্ষকগণ গর্বের সহিত বাস করেছেন সেই বাসাকে সে বস্তি বলে উপেক্ষা করেছেন এবং কমিটির সহযোগীতায় মুসলিম ছাত্রাবাস ভেঙ্গে সেখানে নিজের থাকার জন্য প্রাসাদসম ভবন বানিয়েছেন।ফলে মুসলিম ছাত্রবাস বন্ধ হয়ে গেছে এবং দূরদুরান্ত থেকে পড়তে আসা ছাত্ররা বিপদে পড়েছেন।স্কুলে কারণে/অকারণে পুলিশ ডেকে আনা,ছাত্রদের প্ররোচিত করে এর বিরুদ্ধে মিছিল করানো ওর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো তার দৈনন্দিন অভ্যাস।অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা তার একধরনের নোংরা বিনোদন।এর বিরুদ্ধে মামলা ওর বিরুদ্ধে হুমকি তার আরেক পৈশাচিক আনন্দ।
প্রিয় ভাইয়েরা,
এই যখন অবস্থা চলছে তখন হঠাৎ করে শুনি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক প্রায় ২০ মাস ধরে বেতন বঞ্চিত।কারণ স্কুল ফান্ডে টাকা নাই।আর টাকা না থাকার কারণ ভয়ংকর দুর্নীতি।
আজ এই দুর্নীতিবাজ,অপয়া,দাম্ভিক,মাস্তান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রাণ প্রিয় স্যারেরা অবস্থান নিয়েছেন।আমাদের বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র/ছাত্রীরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করে স্যারদের পাশে এসে দাডিয়েছেন।
নিচের ছবিতে যারা শুয়ে আছেন তাঁরা আমাদের শিক্ষক, আমাদের গুরু,আমাদের আত্মা।আজ আমরা প্রত্যেকে যে সফল পাটাতনে দাঁড়ানো তা তাঁরা গড়ে দিয়েছেন।আজ আমি যে লেখা লিখছি তা লিখতে তাঁরা শিখিয়েছেন।
বন্ধুরা আমার,
এসো বিবেকের তাড়নায় জাগ্রত হই।জেনে রেখো বিবেক কখনো বেঈমানী করেনা।আমি কারো বিরুদ্ধে যেতে বলছি না।আমি শুধু চাই চলো সকলে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াই।
সত্যের ভাণ নেই।সত্য নিরাভরাণ।তাই যে আবেদন আমি তুলতে চাই তার জন্য অনেক রং ঢংয়ের দরকার নাই।শুধু চেয়ে দেখো রাস্তায় শুয়ে আছে তাঁরা যারা আমাদের গড়ে তুলেছেন।তাঁদের আহবানে সারা দিয়ে এসো আমরা এক হই।
তোমরা অর্থ এবং অন্যায়ের দাসত্ব করোনা।কারণ তোমার আছে সেই শক্তি যে পারে আগাছা ছেঁটে গাছকে বাঁচিয়ে তুলতে।তাই এমন দুরনীতিবাজ মাস্তানের অপসারণে চলো এক হই।
মনে রেখো, বিড়াল ধরতে হলে ম্যাও ধরা শিখতে হবে।
আমীন রুমান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশন