আাগামী ৩০ অক্টোবর মুতাবিক ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সঃ এর জন্ম এবং মৃত্যু দিবস পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা, দরুদ পাঠ ও দোয়া ইত্যাদির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হবে। সমগ্র বিশ্ব যখন ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্টতম পর্যায়ে এবং পাপের তাড়নায় অধীর হয়ে ত্রাণকর্তার অপেক্ষায় কাতর ছিল তখন বিশ্বের কেন্দ্রস্হল আরব দেশের মক্কা নগরীতে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ২৯ আগষ্ট (১২ রবিউল আউয়াল) জন্ম গ্রহণ করেন হযরত মুহাম্মাদ সঃ। তিনি ৬৩২ খৃষ্টাব্দের ৭ জুন (১২ রবিউল আউয়াল, ১১ হিজরী) ইন্তেকাল করেন। এ দিনটি এক দিকে আনন্দময়, অপর দিকে বিষাদময়। তিনি ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সংস্কারক। তিনি একটি শক্তিশালী জাতি এবং ইসলামী শরিয়তের ভিত্তিতে মদিনায় একটি রাষ্ট্র গঠন করেন। এ রাষ্ট্রে মুসলিম এবং অমুসলিমরা শান্তিপূর্ণ সহঅবস্হানে বসবাস করেছেন। তিনি প্রচার করেন ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী সমাজ ব্যবস্হা। তিনি ছিলেন বিশ্ব- শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। বিশ্ব সভ্যতায় তাঁর অবদান অতুলনীয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সুরা সাবা এর ২৮ নং আয়াতে বলেন, ” আমি হযরত মুহাম্মাদ সঃ কে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি”। সুরা জিনের ২৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ” যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল সঃ কে অমান্য করে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি “। সুরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ” হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্যে দরুদ এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও”। সহীহ তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে যে, রাসুল সঃ বলেছেন যে, ” কিয়ামতের দিন আমার সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী হবে সেই ব্যক্তি যে আমার ওপর সর্বাপেক্ষা বেশী দরুদ পাঠ করবে”। অতএব, যার সামনে রাসুল সঃ এর নাম উচ্চারিত হবে, তার উচিত রাসুল সঃ এর ওপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা।
ইরানের কবি হযরত শেখ সাদী রহঃ ফার্সী ভাষায় বলেছেন, ” বালাগাল উলা বি কামালিহী, কাশাফাদ্দুজা বিজামালিহী, হাসুনাত জামিউ খিসালিহী, সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী”। এর বাংলা অনুবাদ হচ্ছে, ” সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছিলেন তিনি নিজ মহিমায়, কাটিল তিমির রাত তাঁর নূরের আভায়, চরিত্র মাধুর্য তাঁর মনোরম, তাঁর ওপরে এবং বংশ পরে দরুদ ও সালাম”।
মহান আল্লাহ তাআলা রাসুল সঃ এর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফিরিস্তাগণও রাসুল সঃ এর জন্যে অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। আসুন, আমরা সব সময়ে রাসুল সঃ এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করি। আল্লাহ হাফিজ।