ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়া শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে মিলনের অক্ষর নির্মিত সেতু

মঠবাড়িয়া শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে মিলনের অক্ষর নির্মিত সেতু


নুর হোসাইন মোল্লাঃ পাঠাগার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে মিলনের অক্ষর নির্মিত সেতু ।পাঠাগারে বন্দী থাকে মানুষের চিন্তা – ভাবনা এবং ধ্যান- ধারণা। পাঠাগারে রক্ষিত জ্ঞান নদীর স্রোতের মত দেশ- দেশান্তর আর যুগ- যুগান্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। জ্ঞানের মনিমুক্তা আহরণ আর মানুষের বই পড়ার সীমাহীন আগ্রহ থেকে গ্রন্থাগার বা পাঠাগারের উৎপত্তি। প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, ” গ্রন্থাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চেয়ে বেশী। কারণ, হাসপাতালে কেবল দেহের চিকিৎসা হয় আর গ্রন্হাগার মানুষের সুস্হমন গড়ে তোলে। সুস্হমনের অধিকারী মননশীল ব্যক্তিরাই সভ্যতা সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সভ্যতা সৃষ্টিতে গ্রন্থাগারের অবদান অপরিসীম। ”
কে এম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের দানকৃত জমিতে ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে মঠবাড়িয়া শেরেবাংলা সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে এবং এর শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেঃ জেনারেল এইচ এম এরশাদ। এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন মঠবাড়িয়ার সন্তান কবি মুহাম্মদ আবদুল খালেক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাঠাগারটি নানাবিধ সমস্যার সন্মুখীন হয় এবং ১৯৯৬ সালে এর দখল চলে যায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মঠবাড়িয়া প্রি ক্যাডেট ইনষ্টিটিউশনের পরিচালনা কমিটির হাতে । এ প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি জনাব ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী এমপি সাহেব। পাঠাগারটির দখল উদ্ধারের জন্যে ২০১৬ সালে গঠিত হয় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পাঠাগার আন্দোলন কমিটি এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন জনাব খালিদ সাব্বির,দেবদাস মজুমদার, মেহেদী হাসান বাবু, সবুজ রাসেল , কবি মেহেদী হাসান, প্রিন্স মাহমুদ, ,মাসুম প্রমূখ। ওই বছর বিজয় দিবসে পাঠাগার ভবনের আংশিক দখল উদ্ধার হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। কমিটির মেয়াদ ১৬ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে। পাঠাগারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগামী কমিটি হবে ১১ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে তিনজন পদাধিকারবলে সদস্য থাকবেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কে এম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ও পৌরসভার সচিব। করোনা মহামারীর জন্যে কমিটি পুনর্গঠিত হয় নি। বলা আবশ্যক যে, ১৯৯৩ সাল থেকে মঠবাড়িয়া পৌরসভা ক্ষুদ্র পরিসরে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে পাঠাগারটি পরিচালনা করে আসতেছে। আমি ২০১৬ সাল থেকে মঠবাড়িয়া শেরেবাংলা সাধারণ পাঠাগারের সাথে সম্পৃক্ত। করোনা পরিস্হিতি এবংআমি এক মাসের অধিক সময় যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থ বিধায় পাঠাগারে যেতে পারছি না। বর্তমানে প্রায় সুস্হ। পাঠাগারটি উন্নয়নে ইতোপূর্বে চারজন ব্যক্তি লক্ষাধিক টাকা দান করেছেন। বর্তমানে ৩৪০০০/টাকা পাঠাগারের ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। আমার প্রিয় মঠবাড়িয়াবাসীর প্রতি সবিনয়ে অনুরোধ রলো শেরেবাংলা সাধারণ পাঠাগারটি উন্নয়নে সাধ্যমত সহায়তা করুন।
মঠবাড়িয়া শেরেবাংলা সাধারণ পাঠাগারটি উন্নয়ন তথা গণগ্রন্হাগার অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করার জন্যে পাঠাগারের প্রাক্তন সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জি এম সরফরাজ সাহেব বিগত ২৯-১০-২০১৮ তারিখে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে মাননীয় সচিব মহোদয় বরাবরে আবেদন করেন। আমরা তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ। পরিতাপের বিষয়, সচিব মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত অদ্যাবধি পাওয়া যায় নি। জনস্বার্থে বিষয়টি সদয় বিবেচনা করার জন্যে আমি মাননীয় সচিব মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আল্লাহ হাফিজ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...