মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে লিপি আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ৫দিন ধরে ওই কলেজ ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্রীর মা শাহবানু বেগম শুক্রবার রাতে ৫জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আরও তিনজনসহ মোট ৮জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়ায় থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করকে সক্ষম হয়নি।
মামলা ও আহত সুত্রে জানাগেছে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের সোহরাব জমাদ্দারের স্ত্রী শাহাবানু বেগমের হাঁস বাড়ির পুকুরে নামাকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির মৃত শামসুল হক জমাদ্দারের পুত্র মিরাজ জমাদ্দারের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এর জেরে মিরাজ ও তার স্ত্রী নাসিমা শাহবানুকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করলে মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী বামনা উপজেলার বেগম ফায়জুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লিপি আক্তার এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায় মিরাজ ও তার অপর মেয়ে সাথীসহ ৭/৮জন মিলে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে লিপিকে কুপিয়ে জখম করে। আহত লিপিকে গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত কলেজ ছাত্রীর মা শাহবানু বেগম অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের চারদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই তৌফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জানান, আসামীরা ঘটনার পর থেকে এলাকায় না থাকায় আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভম হয়নি। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।