ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়ার বলেশ্বরের বড়মাছুয়া মোহনা আম্ফানে ধস বর্ষায় ক্ষয়

মঠবাড়িয়ার বলেশ্বরের বড়মাছুয়া মোহনা আম্ফানে ধস বর্ষায় ক্ষয়


দেবদাস মজুমদার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জলোচ্ছাসে বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বড়মাছুয়া মোহনা বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এতে উল্লেখিত এলাকার বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট বাজার ও স্ট্রীমারঘাটসহ বাজার বসতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারন
করেছে।


ভূক্তভোগি এলাকাবাসি জানান, কয়েকদফা ঘাূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট বাজার এলাকা দোকানপাট ও বসতি নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। গত ২৫ বছর ধরে অব্যহত এ ভাঙ্গনে বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট এলাকার দুইশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসতি নদি গর্ভে বিলীন হয়েছে।
ষ্টিমারঘাট যাত্রী বিশ্রামাগার ভবন , পাকা মসজিদ, দোকানপাট বিলীন হওয়ায় স্টিমারঘাট ও বাজারের এখন বিপন্ন দশা।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. মাইনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জলোচ্ছাসের পর ভাঙ্গনের তীব্রতা আরও বৃদ্বি পেয়েছে। বর্তমানে বড়মাছুয়া মোহনার বেড়িবাঁধটি হুমকির মুখে পড়ায় এখানকার গ্রামের
বসতির মানুষজন চরম আতঙ্কে রয়েছে। আম্ফানে স্টিমারঘাটের পণ্টুন বিচ্ছিন্ন থাকায় অদ্যবধি স্টিমার সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। স্টিমারঘাটটি মেরামত না করায় ফলে নৌযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
সম্প্রতি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফাারুক পরিদর্শনে এসে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করা না বড়মাছুয়ার লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট সম্পূর্ণ বিলীনের আশংকা দেখা দিয়ে। এতে নদী তীরবর্তী এলকার কয়েক গ্রামের মানুষ চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
পিরোজপুৃর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ারর বলেশ্বর নদের ভাঙন কবলিত ৫টি পয়েন্টের অন্তত ৮.২ কিলোমিটার এলাকায় কার্যকর বাঁধ ও
ব্লক নির্মাণের একটি সার্ভে প্রতিবেদনকাজ চলমান। এতে ৭২৪ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প প্রস্তবনা পাঠানো হবে। তবে বড়মাছু লঞ্চঘাট বাজার হতে স্টিমারঘাট বাজার অবধি সাময়িক মেরামতের একটি প্রকল্প প্রস্তবনা
পাঠানো হয়েছেযা অনুমোদনের অপেক্ষায়।
সম্প্রতি বড়মাছুয়া ভাঙ্গন কবলিত বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখাগেছে, বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট বাজারের বেড়িবাধেঁর অর্ধেক অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে মোহনা
লাগোয়া লঞ্চঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যুতে খুঁটি হুমকির মুখে রয়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে বড়মাছুয়া বাজার থেকে কাটাখাল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমটিার এলাকায় এখন ভাঙ্গনের তিব্রতা বাড়ছে।
বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট বাজারের মৎস্য আড়তদার ফারুক তালুকদার জানান, টানা ২৫ বছর ধরে বড়মাছুয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙ্গন চললেও আজ অবদি ভাঙ্গন রোধে কার্যকার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভাঙ্গনে লঞ্চঘাট যাত্রী ছাওনি দুই শতাধিক
দোকান পাট নদি গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখানে দ্রুত বেরিবাধ ও ব্লক নির্মাণ অতি জরুরী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাইয়ুম হোসেন জানান, ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বড়মাছুয়া স্টিমার ঘাট ও বাজারের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতিসহ ইতিমধ্যে একটি পাকা মসজিদ ও যাত্রী ছাওনি বিলীন হয়েগেছে। বর্তমানে ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশী যে স্টিমার ঘাট দোকান পাট সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার পথে।
বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট বাজার থেকে কাটাখালী দুই কিলোমিটার ব্লক নিমার্ণ জরুরী।
এ বিষয় বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির হাওলাদার জানান, বলেশ্বর নদের ভাঙনে বড়মাছয়া লঞ্চঘাট বাজার ও স্টিমার এলাকা এখন বিলীনের দিকে। ভাঙনে বেরিবাঁধ এখন হুমকীর সম্মূখীন। ইতিমধ্যে জমি বসতি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনে বিপন্ন লঞ্চঘাট ও স্টিমারঘার বাজার দুটি
ভাঙনরোধের দাবিতে এলাবাসি মানববন্ধন করে কোনও ফল পাচ্ছেনা। বড়মাছুয়া বেরিবাঁধের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় নদীতীরে ব্লক নির্মাণ জরুরী।
এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বালী বলেন, ভাঙন কবলিত বলেশ্বরের বড় মাছুয়া মোহনা সরেজমিনে পানি সম্পদ
প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন। ওই স্থানে ভাঙন রোধে ব্লক নির্মাণ করাও জরুরী। বলেশ্বরের ভাঙনরোধে অন্তত ৮.২ কিলোমিটার অংশে বাঁধ ও ব্লক
নির্মাণের জন্য বিষয়ে একটি সার্ভে প্রতিবেদন প্রস্তুতির কাজ চলছে। প্রকল্প অনুমোদন পরবর্তী নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...