মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৬০ লাখ টাকা ফেরত যাওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাধারণ ঠিকাদাররা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ঠিকাদারদের পক্ষে মোঃ লোকমান হোসেন খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের এডিপির কাজের জন্য ২৪ জুন টেন্ডার আহবান করেন এবং ৫% কমিশনে ঠিকাদারদেরকে টেন্ডার ড্রপিং এর জন্য বলেন।
কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাইদ মোঃ জসিম উপজেলা চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে ৭/৮জন পছন্দ সই ঠিকাদারকে ২২% থেকে ২৭% কমিশনে কাজ পাইয়ে দেয়। এছাড়া পিপিআর বিধি অনুযায়ী আরএফকিউ টেন্ডার পদ্ধতিতে সিডিউল বিক্রি বা দরপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে ৭১ (৩) ধারায় কোন প্রকার মূল্য গ্রহণ করা যাবে না ও ৭০ (৬) ধারায় ৫% জামানত গ্রহণ করা যাবে না যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী আরএফকিউ পদ্ধিতে প্রতি সেটের ধার্য্যমূল্য ৪,৮০০/-(চার হাজার আটশত) টাকা লিখে রশিদ প্রদান করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫,৫০০/-(পঁাচ হাজার পঁাচশত) টাকা গ্রহণ করে আনুমানিক ১২০টি সিডিউল সেট বিক্রি করে প্রায় ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেন। যাহা পিপিআর বহির্ভূত ও সাধারণ ঠিকাদারদের সাথে প্রতারণার সামিল। তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সংখ্যক চেয়ারম্যানগণ রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে করোনাকালীন সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীকে জড়িয়ে মিছিল ও সমাবেশ করায় নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সী, সাবেক কাউন্সিলর হেমায়েত উদ্দিন, জিল-ুর রহমান, আ’লীগ নেতা নুর“জ্জামান তালুকদার, কামর“ল আকন, যুবলীগ নেতা তৌহিদ মাসুম, বাবু শরীফ ও কালাম মোল-া প্রমুখ।
Home - মঠবাড়িয়া - টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে এডিপি’র ৬০ লাখ ফেরত মঠবাড়িয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন