করোনা ভাইরাস প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপসর্গ নিয়ে দেখা দিচ্ছে।বর্তমান সময়ে অন্যতম প্রধান উপসর্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে হঠাৎ করে গন্ধ না পাওয়া কিংবা গন্ধ কম পাওয়া।এর পাশাপাশি খাবারের স্বাদ চলে যাচ্ছে।যেহেতু খাবারের স্বাদ বিভিন্ন রোগে কমে যেতে পারে,তাই হঠাৎ করে গন্ধ না পেলে তাকে অবশ্যই এই প্যানডেমিকের সময় করোনা সন্দেহ করতে হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ,জার্মানী,দক্ষিণ কোরিয়া,ইতালী এই উপসর্গের বিষয়ে গবেষনা করে যাচ্ছে।জার্মানীর গবেষনায় দেখা গেছে যে,প্রতি তিনজন করোনা পজিটিভ রোগীর মধ্যে দুইজনই গন্ধ বা স্বাদ পাচ্ছেন না। লন্ডনের কিংস কলেজ তাদের তৈরি করোনা ট্র্যাকার অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় সাতহাজার করোনা পজিটিভ রোগীর তথ্য নিয়ে দেখেন,৬৫ শতাংশ রোগীরই খাবারের গন্ধ এবং স্বাদ চলে গিয়েছিল।দক্ষিন কোরিয়ার গবেষনায় দেখা গেছে,এক-তৃতীয়াংশ রোগীরই এই উপসর্গ ছিলো।
বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেক রোগীরই করোনার সাধারণ উপসর্গ যেমন-জ্বর,কাশি,গলাব্যথা,মাথাব্যথা কিংবা শারীরিক দূর্বলতা পাওয়া যাচ্ছেনা,শুধুমাত্র নাকে গন্ধ কিংবা জিভের স্বাদ চলে যাচ্ছে এবং এটাই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত উপসর্গের পরিবর্তন কিংবা নতুন উপসর্গের কারন হচ্ছে,করোনা ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে স্ট্রেইন পরিবর্তন।এই স্ট্রেইন পরিবর্তনের ফলে দেশ বা অঞ্চল ভেদে এবং সময়ের পরিবর্তনে ভাইরাসের ভয়াবহতা কিছুটা বৃদ্ধি বা হ্রাস পাচ্ছে।
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়া একমাত্র লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।
তাই,করোনা প্যানডেমিকের এই সামাজিক সংক্রমনের পর্যায়ে এই উপসর্গ দুইটিকে গুরুত্ব দিতে হবে ।এবং যাদের আগে থেকে গন্ধ না পাওয়ার রোগ ছিলোনা,হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দিয়েছে তারা হোম আইসোলেশনে চলে যান এবং নিজেকে করোনা রোগী সন্দেহ করুন।প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডা. ফেরদৌস ইসলাম
আবাসিক মেডিকেল অফিসার
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স