বৈশ্বিক মহামারি করোনা এখন বাংলাদেশেও চেপে বসেছে। অাক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রিয় ভূমি মঠবাড়িয়ার অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। প্রতিদিন নতুন নতুন অাক্রান্তের খবরে অাতঙ্কিত হচ্ছি। প্রথমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ফেরত মানুষকে অাক্রান্ত হতে দেখেছি। এখন ছেঁয়ে গেছে পুরো কমিউনিটি। এমনকি ৬ বছরের শিশুও করোনা পজিটিভ হয়ে গেছে।
সরকার, প্রশাসন নানাবিধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষের অবহেলা, উদাসিনতা ও খামখেয়ালিপনার জন্য সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। করোনা অাক্রান্তে সমগ্র মঠবাড়িয়া এখন টালমাটাল।
মানুষের জীবনমান রক্ষা করা রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিগণের প্রধান কাজ। করোনাভাইরাস মুখ, নাক ও চোখ দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। করোনার এই প্রবেশপথ অাটকাতে হবে কঠিন হয়েই। বাঁচতে হলে এটি করতে হবে। কেউ যদি নিজে বাঁচতে না চায় তারও এটি মানতে হবে। কেননা অন্যকে মারার অধিকার কারো নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সঠিক মাস্ক ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্বের উপর বেশি গুরুত্ব অারোপ করেছে। তাই শতভাগ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিৎ করা সময়ের দাবি। বিলম্ব করার অার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অামার প্রস্তাবনা নিম্নরূপঃ
১. মাস্ক ব্যবহার না করা যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এ বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পৌর শহর ও সকল ইউনিয়ন হাটে টানা ১৪ দিন মাইকিং করা।
২. মঠবাড়িয়া শহরে ঢোকার সবগুলো প্রধান সড়কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মিবৃন্দের দ্বারা চেক পোস্ট বসানো। ইচ্ছা করলে এই চেক পোস্টে অন্য দলের নেতা কর্মিরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিনা মাস্কে কোন মানুষ শহরে প্রবেশ করতে কিংবা বের হতে পারবে না – তা চেক পোস্ট কর্তৃক নিশ্চিৎ করা।
৩. চেক পোস্টে সেবা দেয়া নেতা কর্মিদের সব রকম সহায়তা করতে উপজেলা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সার্বক্ষণিক ভূমিকা পালন করা।
৪. প্রধান সড়কের চেক পোস্টে নেতা কর্মিদের সাথে পুলিশ বাহিনী কর্তৃক সহায়তা করা।
৫. শহরের মধ্যে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের যৌথ টহল অভিযান চালানো। কোন অবস্থায় দোকানদার কিংবা সাধারণ মানুষ মাস্ক ছাড়া না থাকা নিশ্চিৎ করা।
৬. সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রশাসনের সাথে অালোচনা সাপেক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মাস্ক বিহীন ও শারীরিক দূরত্ব না মানা মানুষকে জেল জরিমানা চলমান রাখা।
৭. বিষয়টি কিছুটা মানুষের জন্য সামান্য কষ্টকর কিন্তু মানুষ বাঁচানোর জন্য এটি সময়ের দাবি।
৮. এই ধারা প্রতিটি ইউনিয়ন হাটে বাস্তবায়ন করা গেলে মঠবাড়িয়া উপজেলাকে অামরা করোনার অাক্রমণ থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো – ইনশাঅাল্লাহ।
অাসুন, মানুষের কল্যাণ ও জীবনমান রক্ষায় কঠোর হই, হই ঐক্যবদ্ধ।
অারিফ-উল-হক।
সহ-সভাপতি: উপজেলা অাওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান
বি,অার,ডি,বি, মঠবাড়িয়া- পিরোজপুর।