মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক নির্যাতন, জমি জবর দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণির অভিযোগ
লিখিত অভিযোগে নির্যাতিত গৃহবধূ শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মিঠাখালী গ্রামে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামের পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে আমরা বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছেন।
মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বসতির জমি দখল করে আমাদের উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইতি পূবে ২০০৯ সালে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী দলবল মাঝেরপুল বাজার সংলগ্ন ৫ কাঠা জমি তার বাহিনী দিয়ে জবর দখল করে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর উত্তোলন করেন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা বর্তমানে আদালতে চলমান। চেয়ারম্যানের জবর দখলকৃত ৫কাঠা জমির প্রকৃত মালিক গৃহবধূর চাচা শ্বশুর হযরত আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি। যা তার স্ত্রী ময়না বেগম ভোগ দলখল করে আসছিলেন। চেয়ারম্যানের হুমকী ধামকি ও প্রাণনাশের ভয়ে ওই জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা। বর্তমানে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
গত ১১/০৩/২০২০ ইং তারিখ চেয়ারম্যানের যোগ সাজশে ও প্ররোচণায় পল্লীবিদ্যুতের লোকজন অন্যায়ভাবে গৃহবধূ শিল্পী বেগমের ঘরের মিটার খুলে নিয়ে যায়। এতে তার পরিবার বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েন। ঘরের বিদ্যুত লাইনের তার ও আনুসঙ্গিক মালামাল চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন চুরি করে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান বসতবাড়ির জমি তার দাবি করে পল্লীবিদ্যুত অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পরিবারটির বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেয়।
সর্বশেষ, গত ০২/০৬/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান ফারুক হাসান তার তিন সহযোগিরা মিলে বাড়ির সীমানা বেড়া ভাংচুর শুরু করে । বাঁধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামকে হামলাকারিরা মাছ ধরা কোচ দিয়ে কোপানোর চেষ্টা চালায়। একপর্যায় তারা আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। চেয়ারম্যানের উপস্থিতে এ ঘটনা ঘটিয়ে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী আমাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। এরপর ওই দিন চেয়ারম্যান ফারুক হাসান থানায় ওই পরিবারটির নামে উল্টো সাজানো মামলা দায়ের করেন।
চেয়ারম্যান ফারুক হাসান বাদি ভূক্তভোগি স্বামী আনোয়ারুলকে প্রধান আসামী করে দুইজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রাণি করে। পুলিশ আনোয়ারুলকে কোনও সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
ভূক্তভোগি গৃহবধূ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, চেয়ারম্যান ফারুক হাসানের অত্যাচার নিপীড়ন আর হুমকীর বিষয়ে তার দেবর মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নম্বর- ৩৮৩, তারিখ-০৮/০৩/২০২০ । চেয়ারম্যান পরিবারটিকে বসতবাড়ি হতে উচ্ছেদে নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছে বলে গৃহবধূ অভিযোগ করেন। এতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, ওই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ।
প্রতিপক্ষরাই আমার জমি জবর দখল করে বসবাস করছে। তারা ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে বিদ্যুত সংযোগ নেওয়ায় পল্লীবিদ্যুত অফিস তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।