ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে না পারলে সেই জীবনে বেচেঁ থেকেই বা কি হবে?

প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে না পারলে সেই জীবনে বেচেঁ থেকেই বা কি হবে?


অনেকেই ভেবেছিলেন শুধু চীন,মিয়ানমার,আমেরিকা সহ অমুসলিম দেশগুলতে করোনা ছড়াবে তারা যে ভুল ধারনা নিয়ে ছিলেন তা এখন বুঝতে পেরেছেন।ভেবেছিলেন তীব্র গরমের দেশ গুলোতে যেহেতু করোনা প্রভাব কম তাহলে বেশি তাপমাত্রায় করোনা সংক্রামিত হয় না তারাও ভুল ধারনায় ছিলেন ইতিমধ্যে এইসব বিষয় গুলো সকলে পরিষ্কার। তারপর যারা হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন রমজানের পর করোনা থাকবে না তারাও ভুল বুঝতে পেরেছে।এখন যারা ভাবছেন এক দুই মাসের মধ্যে করোনা চলে যাবে তারাও নতুন করে ভুলের মধ্যে আছেন।আরও ভাবছেন শীঘ্রই করোনার টিকা বের হয়ে যাবে তারাও ভুলের মধ্যে আছেন। তাইলে কি আমাদের করোনা ভাইরাস কে নিয়েই বাকি জীবন চলতে হবে? প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে না পারলে সেই জীবনে বেচেঁ থেকে বা কি হবে? বলতে পারেন আধুনিক প্রযুক্তিময় বিশ্ব সামান্য ভাইরাস এর সাথে হেরে যাবে?
মাওলার জমিনে কোনো ভাইরাসই মানুষের সাথে লড়াই করে জিততে পারেনি, হার মানতে হয়েছে মানুষের কাছে।মাওলা পরিষ্কার বলছেন ধৈর্য্য ধারণ কারীদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার। ভেঙে পরো না, নিরাশ হয়ো না; সাহায্য আসবেই এটা আমার ওয়াদা! জেনে রেখো নিশ্চয়ই আমার সাহায্য অতি নিকটে!’

আমার কাছে এতোদিনে তামাম জমিনের বিজ্ঞানীদের গবেষণা দেখে পড়ে শুনে মনে হয়েছে করোনা ভাইরাসের রুপ ও গতিবিধি ধরতে আগস্ট মাস লেগে যাবে,সুনির্দিষ্ট করোনীয় ও চিকিৎসা ডিসেম্বর মাস লেগে যাবে, কার্যকরী ভ্যাকসিন (টিকা) জমিনে আসতে মার্চ মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। স্বাভাবিক ভাবে মাওলার জমিনে মানব জাতি জুন জুলাইয়ের (২০২১) আগে হয়তো প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারবেন না! তার মানে ধারায় আরও এক বছর আমাদের এই ভাইরাস এর সাথে যুদ্ধ করেই চলতে হবে! হ্যাঁ চলতে হবে! জমিনে আসার পর থেকে মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করে চলছে প্রতিনিয়ত তবে এখন থেকে জমিন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র বেচেঁ থাকার জন্য লড়াই করতে হবে এটা পরিষ্কার।
তাইলে এই সময়টা আমাদের করনীয় কি?

বাংলাদেশ একটা জনবহুল উন্নয়নশীল দেশ মনে রাখতে হবে উন্নত দেশ নয়! তাই মানুষ ঘরে থাকতে যেমনি পারবে না তেমনি সরকার ও ঘরে রাখতে বাধ্য করতে পারবে না! দীর্ঘ লকডাউন অসম্ভব! তাই সচল রাখতে হবে তবে সরকারের করনীয় সংক্রমণ অধিক ছড়িয়ে পরতে পারে এমন ঝুকি নেয়া যাবেনা। সীমিত আকারে জনজীবন সচল থাকলেও মানুষ আক্রান্ত হবে তারজন্য নিরবচ্ছিন্ন ভাবে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে যারা এই সেবাটা নিশ্চিত করবেন তাদের সুরক্ষার উন্নত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সাধারণ মানুষের করনীয় যত সময় পারেন নিজেকে লোকসমাগম থেকে দূরে রাখতে ততক্ষণ লুকিয়ে থাকুন অতি প্রয়োজনে জীবিকার টানে বের হলে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রেখে বের হতে হবে সেইভাবে বের হন।

মনে রাখবেন বিপদ যত বড় হোক না কেন, আল্লাহর রহমত তার চেয়ে অনেক বড়।

মেহেদী হাসান বাবু ফরাজী
প্রকাশক ও সম্পাদক, আজকের মঠববাড়িয়া।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...