ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - লকডাউন প্রত্যাহার এবং করোনা প্রতিরোধের উপায়

লকডাউন প্রত্যাহার এবং করোনা প্রতিরোধের উপায়

ডা. ফেরদৌস প্রিন্স লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে।দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যদিও বেড়েছে,অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের হাতে হয়তো আর কোনো উপায় ছিলোনা।করোনাকে সাথে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে আমাদের।
এখন যদি জনসাধারণ সচেতন না হয়,তাহলে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মাত্র তিনটি কাজ এই সংক্রমনের হার অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে।

🔸মাস্ক ঃ
বাইরে বের হলে শতভাগ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।আমার দেখা মতে গ্রামের বাজারে সর্বোচ্চ ৫%মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে।মঠবাড়িয়া বাজারে ৬০ থেকে ৭০% মানুষ মাস্ক পরে, তবে অধিকাংশ মানুষই থুঁতনির নিচে/কানে ঝুলিয়ে রাখে।এভাবে মাস্ক পরার চেয়ে না পড়া উত্তম।

আপনি যদি মাস্কের বাইরের অংশে বার বার হাত দেন এবং সেখানে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে সেটা আপনার হাতে লেগে পরবর্তীতে নাক,মুখ বা চোখে লেগে আপনি সংক্রমিত হয়ে পড়বেন।
তাই মাস্ক পরার পরে যখন খুলবেন শুধুমাত্র ফিতায় হাত দিয়ে খুলবেন।স্বাস্থ্য সেবার সাথে যারা জড়িত তারা ব্যতীত সবাই কাপড়ের তৈরি মাস্ক (পপলিনের ৩ লেয়ার) পড়লেই যথেষ্ট ,এন৯৫,কেএন৯৫ বা সার্জিকাল মাস্ক দরকার নেই।
প্রতিদিন ধুয়ে সেটা ব্যবহার করা যাবে,তবে খেয়াল রাখতে হবে যে মাস্কটি অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে এবং মাস্ক অবশ্যই ভালোভাবে ফিট হতে হবে।
হ্যা

সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায়ী ১লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা ৬মাসের জেলের বিধান আছে,তারপরও গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে এই আইন কার্যকর করা দুরূহ।

একমাত্র সবার সচেতনতাই পারে সংক্রমন রোধ করতে।

🔸৬ ফুট(৪ হাত)দূরত্ব ঃ

করোনা ভাইরাস হাচি,কাশি এমনকি নি:শ্বাস বা কথা বলার মাধ্যমেও ছড়ায় এবং সাধারণত ৬ ফুট পর্যন্ত এটি রেসপিরেটরী ড্রপলেট হিসেবে ছড়াতে পারে।ক্ষেত্রবিশেষে এর চেয়েও বেশি দূরে যেতে পারে।

সুতরাং অন্য একজন মানুষ থেকে এই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে সংক্রমণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

🔸হাত ধোয়া :

বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া খুব গুরুত্বপূর্ন।কারন,কাপড়,কাঠ,টাকা,টেবিল,চেয়ার,প্লাস্টিক,স্টেইলনেস ষ্টিল এই ভাইরাস ক্ষেত্রবিশেষে ১ থেকে ৭ দিন বাঁচতে পারে।দৈনন্দিন জীবনে আমরা বার বার হাত দেই এসব জায়গায়,তাই বার বার হাত ধোয়ার মাধ্যমে আমরা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারি।

অনেকেই বলেন যে,মাস্ক পড়লে শ্বাস করতে কষ্ট হয়।আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যখন আক্রান্ত হবেন ,তখন কিন্তু ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট হবে,অক্সিজেন ছাড়া ১মিনিট ও থাকতে পারবেন না।অক্সিজেন পাবেন কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।নিউজ দেখুন,মুহুর্তের মধ্যে কিভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে,কোটি কোটি টাকাও কোন কাজে আসছেনা।

সবার সচেতনতাই পারে এই মহামারীর প্রকোপ কমাতে,মৃত্যুর মিছিলকে কিছুটা হলেও রোধ করতে এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে।

ডাঃ মোঃ ফেরদৌস ইসলাম
আবাসিক মেডিকেল অফিসার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,মঠবাড়িয়া
এবং
সাধারণ সম্পাদক
মঠবাড়িয়া ইয়ং ডক্টরস ফোরাম

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সাজানো অস্ত্র মামলায় আসামী করে হয়রাণির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে থানা পুলিশের দায়ের করা একটি ...