দেবদাস মজুমদার :পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিশালাকৃতির চাম্বল
বৃক্ষ উপড়ে স্কুলের শ্রেণী কক্ষ বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের
নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার শ্রেণী কক্ষের টিনশেড ভবনের
পার্শ্ববর্তী একটি চাম্বল বৃক্ষ উপড়ে পড়লে পুরো ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সম্প্রতি উপকূলে বয়ে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের রাতে
উপজেলার নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের পিছনের একটি
বিশালকৃতি চাম্বল বৃক্ষ উপড়ে পরে চার শ্রেণী কক্ষের টিনশেড ভবনের উপর পড়ে।
এতে স্কুল ভবনের একটি পাঠাদানের কক্ষ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া চার
শ্রেণী কক্ষের ভবনে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়। বর্তমানে স্কুল ভবনটি এখন ঝুঁকির
মধ্যে পড়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার নিভৃত যোগাযোগ বিপর্যস্ত পল্লী দাউদখালী গ্রামে
১৯৯০ সালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এমএ হামিদ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা
করেন। দুই একর ৬৮ শতাংশ জমিজুরে গড়ে তোলা এ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
বর্তমানে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখাপড়া করছে।
ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াল ঝড়ে বিদ্যালয়ের কাঠ ও টিনের নির্মিত শ্রেণী কক্ষগুলো
সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি টিনশেড ভবন
নির্মাণের বরাদ্দ মেলে। শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের পর সেখানে নিয়মিত পাঠদান চলে
আসছিলো। সম্প্রতি আম্ফানের ঝড়ে বৃক্ষ উপড়ে নতুন করে ভবনটি বিধ্বস্ত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনার কারনে বিদ্যালয় এখন
ছুটি । তবে বিদ্যালয়ের ছুটি শেষ হলে বিধ্বস্ত শ্রেণী কক্ষের কারনে পাঠদানে
সমস্যা হবে। ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে শ্রেণী কক্ষ ভবনটি মারাত্ম ক্ষতিরগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়য়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কবলে পড়ে উপজেলার প্রত্যন্ত
এলাকায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের তালিকা
তালিকা নিরুপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে
ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিরুপণ করে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
তালিকা পেলেই সংস্কারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।