ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - মঠবাড়িয়ায় সামাজিক দূরত্বহীন হাট ! বাড়ছে ঝুঁকি

মঠবাড়িয়ায় সামাজিক দূরত্বহীন হাট ! বাড়ছে ঝুঁকি

দেবদাস মজুমদার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় করোনা সংক্রমন ঠেকাতে প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সামাজিক
দূরত্বহীন হাট। হাটগুলোতে প্রশাসনের জারিকৃত লকডাউন ভাঙ্গার যেন প্রতিযোগিতা চলছে
এখানে।
জানাগেছে, আজ বুধবার মঠবাড়িয়া পৌর শহরে সাপ্তাহিক হাটের দিনে প্রশাসনের নির্ধারিত
শহরের খেলার মাঠে বসা হাটে মানুষ কোনও শৃংখলাই মানেনি জনসাধারণ। মানুষের উপচেপড়া ভিরে
কোনও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকেনি হাটে। সামাজিক দূরত্ব না মানায় হুমকির মুখে করোনা
সচেতনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের
হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখ নপর্যন্ত উপজেলায় একজন করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে এবং ৩ শতাধিক
পরিবার লকডাউনের আওতায় রয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষের সামাজিক দূরত্বহীনতা সংক্রমনের শংকা
বাড়িয়ে দিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, সাপ্তাহিক হাটে আগত লোকদের সামাজিক দুরত্ব বজায়
রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ শহরের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে নিরাপদ হাট চালুর
সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ি মাঠে হাট বসলেও সামাজিক দুরত্ব চরমভাবে লংঘিত হয়েছে। কাক
ডাকা ভোরেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শাক-সবজি, তরকারি ও মাছ নিয়ে মাঠে আসতে
থাকে লোকজন। সকাল ৮ টার মধ্যে কয়েকহাজার হাটুরের মানুষের সমাগমে মাঠ ভরে যায়। প্রশাসনের
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ লংঘন করে ব্যবসায়ি ও হাটুরেরা দিনভর বেচা কেনা করে।
পৌর শহর ছাড়াও ১১ ইউনিয়নের হাটবাজার গুলোর মানুষের সমাগমের চিত্র একই। হাট-বাজার গুলোতেও
মানা হচ্ছে না লক ডাউন। গ্রামের হাট বাজার গুলো বসছে নিয়ন্ত্রণহীন। পৌরশহর আর ১১ ইউনিয়ন
নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ছোট বড় হাট বাজার রয়েছে এ উপজেলায় যা এখন ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেক তরুণ সীমান্ত হাসনাইন পান্থ বলেন, হাট-বাজার গুলোতে লকডাউন না মানার
অন্যতম কারণ ইজারাদারদের দৌরত্ব । সেই সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সংকটকালে নিরব ও
সমন্বয়হীন ভূমিকা বিরাজ করছে।
এদিকে হাট-বাজার ছাড়া উপজেলার প্রবেশ পথ (জল ও স্থল) সমূহ দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে করোনা
কবলিত এলাকা নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা লোকজন। প্রবেশ পথে দুর্বল নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থার কারনে কৌশলে লোকজন ঢুকছে। প্রশাসন আগত লোকদের সনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে
পাঠাবার আগেই তারা লোকজনের সাথে মেলামেশা করে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এলাকার মানুষকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও এসিল্যান্ড রিপন বিশ^াস বলেন, প্রশাসন এবং স্থানীয় জন
প্রতিনিধিদের সমন্বয় ছাড়া লকডাউন নিশ্চিত করা সম্ভব না। উপজেলার হাতে গোনা কয়েকজন
জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কারো সহযোগিতা না পাওয়ায় লকডাউন নিশ্চিত করতে হিমশিম
খেতে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...