ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ার শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগারে পাঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি

মঠবাড়িয়ার শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগারে পাঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি

মাননীয় মেয়র,
মঠবাড়িয়া পৌরসভা
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।

জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, বর্তমান যুগ জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগ। জনগণের মধ্যে জ্ঞান বিস্তার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে সরকারি অর্থে মঠবাড়িয়ায় শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কিছু আসবাব পত্র এবং বই নিয়ে পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তিতে পাঠাগার ভবনের একটি ছোট কক্ষে পাঠাগারের কার্যক্রম সীমিত রেখে অবশিষ্ট কক্ষগুলো শিশুদের বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কক্ষটি পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে বই পড়ার পরিবেশ নেই। এখানে লাইট ও ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। ভবনটি জরাজীর্ণ। পুরানো কিছু বই আছে। নিয়মিত কোন দৈনিক পত্রিকা নেই। বইগুলো অযত্নে এবং এলেমেলো অবস্থায় আছে। পাঠাগারটি বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যুগোপযোগী এবং পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বই না থাকায় কোন পাঠক পাঠাগারটি ব্যবহার করছে বলে আমাদের জানা নেই। পাঠাগার বিশ্বের প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও রাজনীতিবিদদেরকে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সব বয়সী পাঠকের পাঠ উপযোগী বইয়ে সমৃদ্ধ করে পাঠাগারটি বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখে সব বয়সী পাঠককে বই পড়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ। কেননা বই ছাড়া মানুষের জ্ঞান পরিপূর্ণ হয় না। প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, “গ্রন্থাগার বা পাঠাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চেয়ে বেশি। কারণ হাসপাতালে কেবল দেহের চিকিৎসা হয়, আর গ্রন্থাগার মানুষের সুস্থ মন গড়ে তোলে। সুস্থ মনের অধিকারী মননশীল মানুষই সভ্যতার সৃষ্টি করেছে। এ সভ্যতার সৃষ্টিতে গ্রন্থাগারের অবদান অপরিসীম।” উল্লেখ্য, এ পাঠাগারটি মঠবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, জনাব সমীপে আমাদের বিনীত আবেদন, শেরে বাংলা পাঠাগারটি পাঠকগণ যাতে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারে তার সুব্যবস্থা গ্রহনে আপনার সদয় মর্জি হয়।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষে

১,মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক খান মজনু
আহবায়ক

২. নূর হোসাইন মোল্লা
সদস্য সচিব,
৩. মোঃ রাসেল সবুজ, সদস্য,

৪. মো. তৌহিদুল ইসলাম সোহেল, সদস্য
৫. মোঃ আব্দুর রহমান রাব্বি, সদস্য

৬. মোঃ মেহেদী হাসান, সদস্য

#

> সদয় অবগতি নিমিত্তে অনুলিপি প্রেরণ করা হল <

১। মাননীয় সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়,
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
০২। মাননীয় জেলা প্রশাসক, পিরোজপুর।
৩। মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার,
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...