বিশেষ প্রতিনিধি ⤵️
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বহেরাতলা থেকে থানাপাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে বৈদ্যুতিক পিলার স্থানান্তর না করে চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। নির্মাণাধিন এক কিলো সড়কের ওপর ১০টি বিদ্যুতের খুঁটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুত বিভাগ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়কের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়ক নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন। এতে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়ক দিয়ে ঢাকা,বরিশাল, খুলনাসহ ১২টি রুটে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। আঞ্চলিক এ মহা সড়ক সম্প্রতি প্রশস্ত করণের কাজ চলমান। কিন্তু সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুটি অপসারণ না করে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এতে সড়কে এখন দুর্ঘটনার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এক কিলো সড়কে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক পিলার দুই পাশের ড্রেনের মাঝে থাকায় ড্রেনের বর্জ্য অপসারণে বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, পৌর শহরের বহেরাতলা থেকে থানাপাড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৬৬০ মিটার ড্রেনসহ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এতে ওয়েষ্টার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ড্রেনসহ ৩ ইঞ্চি সিসি ও ৯ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে। নির্মাণাধিন এ মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর না করে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মিলিত নাগরিক অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব জাহিদ উদ্দিন পলাশ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে বার বার বলেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। খুঁটি না সরালে যান চলাচলসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগকে খুঁটি সরানোর জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তারপরেও তারা অনেক খুঁটি সরাচ্ছেন না। খুঁটি না সরানোর কারণে খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম নিত্যানন্দ কুন্ডু জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ জায়গা করে দিলে আমরা খুঁটি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।