ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে অভিবাদন

জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে অভিবাদন

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ্মআজ জননেত্রী । এদেশের দুঃখী মানুষের ভরসা আর সোনার বাংলার সোনার মানুষ। দেশ ও মানুষের স্বার্থে তাঁর সুচিন্তা ও সময় উপযোগি পদক্ষেপ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। তিনি আজ বাংলা অগ্রগতি ও উন্নয়নের অগ্রদূত। তিনি যা বলেন সোজাসাপটা আর দেশের স্বার্থে জনস্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেন তা বাস্তবায়ন করবেনই। আজ তিনি জনতার নেত্রী ।

তাঁর দল নির্বাচনের তফসিলে বলা হয়েছিল দুর্ণীতিমুক্ত দেশ গড়া, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত,জঙ্গিমুক্ত একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আজ সত্যিই বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর। দলীয় আর বিরোধী দলীয় নয় যিনিই অন্যায়-অপরাধের সাথে জড়িত তার কপালেই মিলছে হ্যান্ডকাপ। সম্প্রতি সময়ে ঢাকা চাঞ্চল্যকর দুটি ঘটনা পরিষ্কার বলে দেয় শেখ হাসিনা আপোষ করার মতো প্রধানমন্ত্রী নন। যেমন বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রতিবাদী নেতা তার কন্যাও আজ গোটা বিশ্বে প্রমাণ করেছেন আপোষহীন একজন সরকার প্রধান।

দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সক্ষম হয়েছেন। ইতিহাস বলে দেয়, ডিআইজি মিজান তিনিও কারাগারে ছাড় পাননি।খালেদ মাহমুদ, জিকে শামীম তারাও আজ লাল দালানে।এ রকমের অপরাধীদের শাস্তি বিএনপি সরকারের আমলে হয়নি বরং কিছু অপরাধীকে লালন পালন করে ২১ আগস্টের মতো হামলা করতে পেরেছে এটা ছিল বিএনপির চরম ব্যর্থতা।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দলের অপরাধীকে ছাড় দেয়না। অপরাধি যে দলেরই হোক তিনি ছাড় দেবেননা এমন অঙ্গীকার সামনে রেখেই দিনি সফল রাষ্ট্র পরিচালনা করে েচলেছেন। । আজ নিজ দলীয় নেতাদের অর্থ-সম্পদের হিসেব নেয়া শুরু করেছেন। যার মধ্যে গোল-মাল রয়েছে তিনিই হন লাল দালানের বাসিন্দা। গোটা বাংলাদেশের মানুষ আজ এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বেড়েছে আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয়তা, আর মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছেন কেউ আপোষ করলেও শেখ হাসিনা আপোষ করে না। এছাড়াও ভুমিদুস্যরা বিভিন্ন জেলা/উপজেলা সরকারি জমি দখল করে সম্পদের পাহাড় তৈরী করেছেন। তারাও আজ রক্ষা পাচ্ছেন না শেখ হাসিনার আপোষহীনতার কাছে।

একটা সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি বদ্ধ পরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে একটি কু-চক্র মহল মাঠে ময়দানে সক্রিয়। সে বাধা পেরিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছেন শেখ হাসিনার সরকার। বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বিচার দিয়েও সুবিধা লাভ করতে পারেনি কু-চক্রী মহলরা। তারা দেশের উন্নয়নকে বাধাঁগ্রস্থ করতেই চোখ-কান খোলা রেখে বসে আছেন। কিন্তু সম্ভব নয় যদি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন তাহলে বাধাঁ দিয়ে লন্ডভন্ড করতে পারতেন। কারণ শেখ হাসিনার কথায় কাজে মিল আছে, । বাংলাদেশ হবে একটি ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত দেশ এটি শেখ হাসিনার দৃঢ়তা । তবে নজর রাখতে হবে যখনি অন্যায়ের প্রতিবাদ গড়ে তুলে তখনি দেশ বিরোধিরা সক্রিয় হয়ে উঠে বাঁচার জন্য। সেগুলো মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন জননন্দিত শেখ হাসিনা।

আজ সারাদেশ ব্যাপী চলছে শুদ্ধি অভিযান । সেই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এদেশের সাধারণ কৃষক-শ্রমিক জনতা।হয়তো বড় বড় রাঘব বোয়ালদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও দেশের সাধারণ মানুষ অত্যান্ত খুশি হয়েছেন। রাস্তাঘাটে অলিতে-গলিতে চা এর দোকানে আরোচনা একটাই শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করে। দলের পদ নিয়ে বসা থাকা নয়, টাকা আয় করার জন্য পদ-পদবী দেয়নি। মানুষের জীবন নিয়ে মাঠে-ময়দানে খেলায় মেতে উঠার জন্য এমপি/মন্ত্রী বনানো হয়নি। আপনাদেরকে জনপ্রতিনিধি এজন্যই তৈরী করেছেন একমাত্র মানুষের সেবায় কাজ করা। নিজ নির্বাচনী এলাকা রেখে ঢাকায় আড্ডা দিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন, আর জণগন তাকিয়ে আছে কোনদিন আসবে সাহেব এলাকায়।

প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, জনপ্রতিনিধি হয়েছেন মানুষের সেবা করবেন দিনরাত। বিচার বিভাগ, থানা, ইউনিয়ন আদালতে মামলা আর মামলা। ছোট-খাটো বিষয়গুলো জনপ্রতিনিধিদের সততার সাথে সমাধান করার ইচ্ছা থাকলেও করা হচ্ছে না, দিনের পর রাত, রাতের পর দিন চলে আসলেও খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছেন ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। উপায় অন্তর না পেয়ে বিচার-আর থানার বারান্দায় দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন ভুক্তভুগীরা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশকে নিয়ে যেভাবে পরিশ্রম করেন, তার সাথে আপনারা জনপ্রতিনিধিরাও তেমন পরিশ্রম করলে আজ বাংলাদেশ হতো বিশ্বের মধ্যে আধুনিক একটি দেশ। হয়তো নিজের পকেটভারী করার জন্য সততাকে বিলীন করে অসৎকে সামনে স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করছেন। যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক তারা কখনই দেশের ক্ষতি করে না। আপনার যোগ্যতা ছিল না জনপ্রতিনিধি হওয়ার, কিন্তু জণগন ভালবেসে সম্মানের চেয়ারে বসিয়েছেন। আর আপনাদের উচিৎ সত্য বিচার-বিশ্লেষনের মাধ্যমে চেয়ার ধরে রাখা। আজ এক নজরে তাকিয়ে দেখুন- যাদের অবৈধ অর্থ-সম্পদ গড়া ছিল, তাদের আজ কিছুই নেই। তাহলে খুলনার এরশাদ সিকদারও বেচেঁ থাকতেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ ও মানুষের স্বার্থে আপনার শুদ্ধি অভিযানকে সাধুবাদ জানাই।

আপনার পক্ষে ১৬কোটি মানুষ আছে। আপনি এগিয়ে যান । দীর্ঘজীবি হোন ।

 

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...