মঠবিাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ ও অবমানকর বক্তব্য ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে জাপা এমপিকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজি ও উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ শনিবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মূখ সড়কে দুই ঘন্টাব্যাপী পৃথক দুই মানববন্ধনে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
শেষে মুক্তিযুদ্ধ কালীন সুন্দরবন অঞ্চলের আসাদ নগরের ইয়াং অফিসার মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক মজনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্ত্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, আব্দুস সোবহান শরীফ, লুৎফর রহমান, আবদুস সালাম মোল্লা, মতিয়ার রহমান, মোশারেফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম জালাল ও শাহাদাৎ হোসেন রাজা প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি। ২০০৫ সালে বিএনপির টিকিটে নির্বাচিত হয়ে প্রভাব খাটিয়ে ওই সময় মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভূক্ত হন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা গাউস আকন বাদি হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যার নিষ্পত্তি আজও প্রক্রিয়াধীন। এমন অবস্থায় তাকে মুক্তিযাদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিপিটর সভাপতি করা হয়েছে যা অনাকাঙ্খিত। মুক্তিযোদ্ধারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভূক্ত একজন যুদ্ধকালীন কমা-ারকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি করার দাবি জানান।
অপরদিকে পৃথক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, মহান মে দিবসে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শ্রমিক সমাবেশে উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ ও অবমানাকর বক্তব্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। এর বিচার দাবি করে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, নৌকার প্রার্থী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে মিথ্যাচার করছেন। সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার পরিবারের কোন সদস্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী না। সে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যমূলক অবমাননা করেছেন।
উল্লেখ্য নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকুর বিরুদ্ধে গত ৭ মে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল বাদি হয়ে পাঁচ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেছেন।