( কবিতা-১ )
।। মনোবেদনা ॥
যে
জ্বলে
ভাসছে
মানবতা,
সেই বেদনা
বলি কার কাছে?
পিশাচের সমাজে
মানুষ কোথায় আছে!
ডাকিনীর বিধ্বস্ত রাজ্যে
সর্বত্র ধ্বংসের উন্মাদনা,
চলছে পিচাশের আরাধনা,
মানুষের মগজে বোধ হীনতা,
এক দুই করে চলে সময় গোনা,
মানুষেরা আর মানুষ হয়ে ওঠেনা,
মানব সমাজ কবে আর সৃজন হবে?
( কবিতা-২ )
।। ভাষা ॥
যে
ভাষা
আমাকে
মধু সুরে
বুলি শেখালো;
সে ভাষাই বাংলা ’
এ বাংলা ভালোবাসা।
যে ভাষা দ্বীপ জ্বালালো,
আঁধার রাজ্য জুড়ে আলো;
শুদ্ধ একরাশ শব্দ দিলো:
দামাল প্রাণের বিশুদ্ধ হাসি!
হাতেখড়ির স্পন্দন ভাষা বাংলা,
হৃদয়ে সুখ এবং আবেগী অক্ষর;
স্বাধীন রাজ্যের পোস্টারে ছাপা স্লোগান;
সে ভাষা কবিতা ঠাসা পৃষ্ঠা আমার বাংলা।
( কবিতা-৩ )
।। অবাক কন্যা ॥
না
জানা
মেয়েটা,
একা থাকা \
তার গল্পটা,
অদ্যাখা স্বপ্নটা,
দৃশ্যত নিঃসঙ্গতা,
মুখশ্রী পূর্ণ ম্লানতা,
বুক ভরা তার শূন্যতা,
নীল শাড়ির গায়ে; খালি পা,
মেঘ গম্ভীর তার চোখ জোড়া,
কখনও বলেনা মেয়ে কোন কথা,
তার গল্পটা আজও হয়নি জানা—
কেউ কোনদিন জানেনি তার ঠিকানা;
আমি যে নাম রেখেছি তার নীল জোছনা।
( কবিতা -৪ )
।। ছল ।।
কি
বাকী
একাকী
বেহিসেবি
নিশ্চুপ কবি!
স্মৃতিতে সে ছবি;
নীরবে চেয়ে দেখি
দারুণ যন্ত্রণা সে কি?
প্রেম বিষ মন্ত্রণা না কি?
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
যেদিন তোকে আমি এটা বলি;
আমার চোখে চেয়ে হেসে দিলি,
কিছু দূর গিয়ে ফিরে তাকিয়েছিলি,
তবেকি আমায় মেয়ে ভালোবেসে ছিলি?
তা ছিল ছলনা— না কি ভালোবাসা বুঝিনি!
( কবিতা-৫ )
।। চাঁদ ও মেঘের মিলন।।
ঐ
নীল
জোনাকী
আসমানে—
তাঁরারা জ্বলে;
নিস্তব্ধ নিশিতে
মাঝরাতে পূর্ণতা?
এতটা কেন মুগ্ধতা!
বোকা আমি থাকি তাকিয়ে
চাঁদ লাজুক মেঘ আড়ালে—
আমি নিশ্চুপ নৈসর্গিক স্পর্শে
পারদ যেমন থাকি পৃথিবীতে
তাকে দেখেই উড়ে যাই বাষ্প হয়ে
আলিঙ্গন মগ্ন হই সুখের মিলনে
ছুঁয়ে দিলাম চাঁদ কন্যাকে মেঘের বেশে।
লেখক : সাদা কাঁক(মেহেদী হাসান) মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
মোবাইল: ০১৭৫৩২৩৪০৭০