মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান স্কুল ও মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রবেশপত্রে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়- আজ রোববার (৩০এপ্রিল-২০২৩)উপজেলার ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ২হাজার ১শ’৫৩জন শিক্ষার্থী ৪টি ভেন্যুসহ ৫টি কেন্দ্রে এসএসসি ও ৪৭টি মাদ্রাসার ১হাজার ২শ’ ৫ জন শিক্ষার্থী ২টি দাখিল এবং ভোকেশনালের ৫২জন পরীক্ষার্থী একটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।এসএসসির প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ২৩জন ও দাখিল এ কোরান মাজিদ পরীক্ষায় ৮৩ ভোকেশনালে বাংলা-২ পরীক্ষায় ১জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদিকে খোজ নিয়ে জানাযায়- চলমান পরীক্ষায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে প্রবেশ পত্র, কোচিং ও কেন্দ্র ফি আদায়ের অভিযোগ ওঠছে। কথা বলে অধিকাংশ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান-তাদেরকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলেও মূখ খূলতে তারা সাহস পাচ্ছে না বলে জানান। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও উত্তর মিঠাখালী গ্রামের উইনুচ ফকিরের পুত্র ইব্রাহিম জানান(যার রোল নং-২২৮৩৭২ রেজি নং২০১৫১৭৫১১৬)বিদ্যালয়ে প্রবেশ পত্রের জন্য ৬শ এবং কোচিং ফি বাবদ ১হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আদায় করেছে বলে জানান।ওই ছাত্রের মা নুপুর বেগম অভিযোগ করে বলেন ঈদুল ফিতরের দিন ফিতরার টাকা দিয়ে প্রবেশ পত্র বাবদ ৫শ’ টাকা দিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র দিতে অপারাগতা করলে একজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে ১শ’ টাকা এনে ৬শ টাকা দিলে ছেলের প্রবেশ পত্র নেন।তিনি আরও বলেন এর আগে তার ছেলে মানবিক বিভাগে বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্র ফিসহ ২হাজার ২০ টাকা তাঁর শেষ সম্বল স্বর্ণের জিনিস বন্দক রেকে ২হাজার টাকায় ফলম ফিলাপ করি।তারপরেও তার ছেলের কাছ থেকে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রবেশ পত্রের টাকা আদায় করে। একই অভিযোগ করেন-ওই ¯কুলের অপর শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম ইমন। যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র বারী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-ফরম পূরনের সময় কেন্দ্র ফি নেয়া হয়নি তাই ৫শ’ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরুখালী স্কুল এ্যন্ড কলেজের এসএসসির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, তাদের কোচিং ফি বাবদ ৪হাজার ও প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’টাকা ধার্য করে প্রবেশ পত্র বিতরণের সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করছে। করেছে।শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে এ বিষয়ে কথা বললে পরীক্ষার হলে ক্ষতি করতে পারে বলে জানান। যদিও কলেজ অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খান দাবী করেছে-পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে কোন টাকা নেয়া হয়না।তবে গত চার মাসের কোচিং বাবদ যে যা দেয় তাই নেই বলে দাবী করেন।
উপজেলার বাদুরা গ্রামে বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা কামিল মাদ্রসা কেন্দ্রের দাখিল শিক্ষার্থী তাকওয়া ইয়াসমিন হাফসা(যার রোল নং-২১৭১০০ রেজি নং-২০১৮৭৪৫৮৯৯) অভিযোগ করে বলেন-তার কাছ থেকে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’টাকা নেয়া হয়েছে।মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ ৫শ’প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা বাবদ নিয়েছে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন বলে শিক্ষার্থী জানান।ওই শিক্ষার্থী অভিভাবক তেতুলবাড়িয়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সোহরাপ হোসেন অভিযোগ করে বলেন-এর আগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার নাতী হাফসার ফরম ফিলাপের সময় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ২হাজার ৮শ টাকা নিয়েছে।পূনরায় প্রবেশ পত্রে টাকা দিতে বাদ্য করে। এ বিষয়ে মাদ্রসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও কেন্দ্র সচিব আব জাফর মোঃ সাল্হে বলেন-ফরম ফিলাপের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি বাবদ কোন টাকা আদায় করা হয়নি বলে দাবী করে এজন্য প্রবেশ পত্রে দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি আদায়ের কথা দাবী করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বলেন, অর্থ আদায়ের বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অর্থ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।