মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴🟢
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তসিবুল শাওন নামে এক নয় বছরের শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করার অভিযোগ পেয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা স্বজনদের খবর দিলে শিশুটির মা তাসলিমা বেগম (৫০) ৯৯৯এ ফোন দিলে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কওে । এসময় পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত হনুফা বেগমকে নামে এক নারীকে আটক করে। আজ বুধবার সকালে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের কাছে একটি এনজিও কিস্তির পাওনা দশ হাজার ৬শ’ টাকা পরিশোধ না করায় প্রতিবন্ধী তসিবুল শাওন নামে ওই বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে রাস্তা দিয়ে ধরে এনে বসত ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। শিশুটির আপন ফুফাত ভাবী প্রতিবেশী হনুফা বেগম(৪০) এ ঘটনা ঘটায়।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৮নম্বর ওয়ার্ড সবুজ নগরের বাসিন্দা ও ডাক বিভাগের রানার সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রাইম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওর লোনের কিস্তির ১০হাজার ৬শ’টাকা পাওনা বকেয়া পরে। ওই টাকা সিরাজুল এর আপন ভাগ্নে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হনুফা বেগম এর কাছে পাওনা হয়। আজ বুধবার ওই রৃণের কিস্তি পরিশোধ করা কথা থাকলেও শিশুটির পরিবার তা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এর জের ধরে বসত ঘরের সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় হনুফা বেগম প্রতিবন্ধী শাওনকে তুলে নিয়ে বসত ঘরের একটি কক্ষে আটক করে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এসময় প্রতিবন্ধী শাওন ডাক চিৎকার দিলে জাহাঙ্গীরের ছোট বোন সুরাতন(৪৫) দেখে ফেলে বিষয়টি শাওনের মা তাসলিমাকে জানায়। এসময় তাসলিমা ঘটনাস্থলে এসে ঘরের মধ্যে ছেলেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে শিশুটির মা তাসলিমা বেগম ছেলে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯ ফোন কল দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার এক ঘন্টা পর শিশুটিকে তালাব্ধ ঘর হতে উদ্ধার কর্ ে। সেই সাথে অভিযুক্ত হনুফাকে আটক করে।
পুলিশ হেফাজতে বসে হনুফা বেগম বলেন, তার মামা শ^শুর সিরাজুলকে এনজিও হতে নিজের নামে লোন এনে েিদন। কিন্তু কিস্তির পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করত তারা।এজন্য রাগ করে টাকা পাওয়ার জন্য তার ছেলেকে আটক করেন বলে দাবি করেন।
শিশুটির পিতা সিরাজুল ইসলাম বরেলন, ভাগ্নে বউ হনুফা তার কাছে কিস্তির দশ হাজার ছয়শত টাকা পায়।কিন্তু যোগার করতে পারি নাই বলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে আটক করবে এটা দুঃখজনক।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযুক্ত নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।