ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় জেলে পুনর্বাসনের ভিজিএফ চাল ওজনে কারচুপি !

মঠবাড়িয়ায় জেলে পুনর্বাসনের ভিজিএফ চাল ওজনে কারচুপি !

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴

পিরোজপুরে মঠবাড়িয়ার মৎস্য সংরক্ষণ মৌসুমে কর্মহীন জেলেজের পুনর্বাসনের চাল বিতরণে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে। ঈদের আগে জেলেরা এ ভিজিএফ চাল পাওয়ার কথা থাকলেও এখনও অন্তত ৭টি ইউনিয়নে জেলেরা তাদের পুনর্বাসনের । যে কয়টি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়েছে তাতে দুই মাসের আশি কেজি চালে জেলেরা অনন্ত ১০/১১ কেজি করে ওজনে কম পেয়েছেন।
স্থানীয় বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ৮৭৫ জন েেজলেদের ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ওজনে চুরি করে আজ বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হয়। ঈদুল ফিতরের আগে ১২ মে এর মধ্যে এ চাল বিতরণের কথা ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুই দফা চাল বিতরণের চিঠি উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ে চাল বিতরণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইনটেক বস্তা খুলে জেলে প্রতি দুই মাসের চালে জনপ্রতি ১০ থেকে ১১কেজি চাল কম দিয়ে বিতরণ করে। এতে জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্দ জেলেরা ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করে।

সরেজমিনে গিয়ে যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সরকারী ইনটেক পঁঞ্চাশ কেজি ওজনের বস্তা খুলে জেলেদের বস্তায় ওজন মাপা যন্ত্র ছাড়াই বালতি দিয়ে মেপে জেলেদের বস্তায় চাল ভরে দিচ্ছেন। বড়মাছুয়া ইউনিয়নর জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা ৮৭৫ জন জেলের জনপ্রতি চল্লিশ কেজি করে এপ্রিল ও মে দুই মাসে আশি কেজি চাল দেয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়াম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রতি জেলের পরিবারের মাঝে দশ থেকে বার কেজি ওজনে কম দিয়ে বিতরণ শুরু করেন।
সরেজমিনে গেলে উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত মানিক আকনের ছেলে জেলে মো. সাইয়েদ আকন (৫২) এর চাল ওজন করে দেখা যায় দুই মাসের আশি কেজির পরিবর্তে তাকে ঊনসত্তর কেজি চাল দেয়া হয়েছে।

উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুহুল আমিনেরে জেলে জেলে পাবেল (৩২)কে সত্তর কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।
সংশিলষ্ট জেলেরা জানান, তাদের প্রত্যেককে নির্ধানিত আশি কেজি চালের পরিবর্তে দশ থেকে এগার কেজি চাল ওজনে কম দেয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি। এর প্রতিবাদ করতে আমরা সাহস পাচ্ছিনা।
৬নম্বর ওর্য়্ডা ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম টুকু বিভিন্ন খরচ নির্বাহের জন্য মৎস্য ও ট্যাগ অফিসারে উপস্থিতিতে দশ কেজি করে কম দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার দশ কেজি চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা জনপ্রতি জেলেকে আশি কেজির পরিবর্তে ছিয়াত্তর কেজি চাল বিতরণ করেছি। তিনি আরও বলেন, বস্তায় চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরী ও কার্ড বঞ্চিত হতদরিদ্র দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য চার কেজি করে কম দিতে হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম তার উপস্থিতিতে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ অস্বীক্র করে বলেন, আমি কার্ডধারী জেলেদের আশি কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান কম দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদেও জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেই।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন তালুকদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক মাপের চাল বিতরনের নির্দেশ দিয়েছি।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...