মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফরদিা বেগম(৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বিধবা ভিক্ষুক এক পান দোকানী কর্তৃক নির্দয় মারধরের শিকার হয়েছেন। আজ বুধবার বিকালে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এর পান দোকানী আব্দুর রহিম ওই বৃদ্ধাকে প্রকাশ্য রাস্তার ওপর ফেলে মুখমণ্ডল থেঁতলে দিয়েছে। গুরুতর আহত বৃদ্ধাকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
নির্যাতিত বিধবা ভিক্ষুক উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ছোট শিংগা গ্রামের হত দরিদ্র জবেদ আলীর মেয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, করোনা আক্রান্তের ভেতর না বুঝে মানসিক ভারসাম্যহীন বিধবা বৃদ্ধা ফরিদা বেগম মেয়ে বিধবা ফরিদা বেগম গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে আসেন ভিক্ষা করতে। বিকালে সে একটি পান খাওয়ার জন্য শহরের দক্ষিণ বন্দর পান সিগারেট এর দোকানী আবদুল রহিম এর দোকানে গিয়ে একটি পান থেতে চান। দোকানী আব্দুর রহিম ওই বৃদ্ধার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায় সে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বৃদ্ধা টেনে হিঁচড়ে রাস্তার ওপর ফেলে পা দিয়ে পিশে মুখ মণ্ডল থেঁতলে দেন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত রহিমকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় পুলিশ অভিযুক্ত দোকানীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
্
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. মো. মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত দোকানীকে আটক করা হয়েছে। বৃদ্ধাকে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত দোকানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।