মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাজানো ধর্ষণ মামলা দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত তিন মাস ধরে জেল-হাজতে থাকা ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী মনিরা আক্তার আজ বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনিরা আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী নুরুজ্জামান উপজেলার বাইশকুড়া বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার সাথে বাকীতে মালামাল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে একই বংশের আজিজ খা’র পুত্র হাসনাতের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জের ধরে হাসানাত ও তার সহযোগী আমান উল্লাহ, ইউনুচ ও বাদল মিলে ওই বাজারে বিভিন্ন হোটেলে দিনমজুরের কাজ করা ১১ বছরের এক শিশু কন্যাকে দিয়ে নূরুজামান এর বিরুদ্ধে গত ১১ই আগষ্ট মঠবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করায়। পুলিশ ওই মামলায় নূরুজামানকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠালেও ডাক্তারী পরীক্ষায় শিশুর ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, গত তিন মাস ধরে এ মিথ্যা মামলায় সে জেল-হাজতে থাকায় শ্বাস-কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভূগছে। এছাড়াও উর্পাজনের একমাত্র দোকান ঘরটি বন্ধ থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাবনসহ বিভিন্ন এনজিও’র লোকজন কিস্তির তাগাদা দিচ্ছে এবং তার স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস,আই রেজাউল করিম রাজিব বলেন, মামলা দায়েরের পর অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ওই শিশু আদালতে জবানবন্দী দেয়।