ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার গার্মেন্টকর্মী (১৮) গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সুমন মিয়া(২৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা থানা পুলিশ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের লক্ষিপুরা মহল্লায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সুমন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। সে এক সন্তানের জনক। ঘটনার পর থেকে সে ভান্ডারিয়া পৌর শহরের লক্ষিপুরা মহলায় তার শ্বশুর হারুন বেপারীর বাসায় আত্মগোপনে ছিল।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ওই গার্মেন্টকর্মী নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের কদমতলী এলাকা থেকে গত ৭ জুন শুক্রবার তার বান্ধবী মৌসুমী আক্তারের নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ধর্মগঞ্জ আরাফাত নগরের বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে সুন্দর স্থান দেখানোর কথা বলে বান্ধবী মৌসুমী কৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই গার্মেন্ট কর্মীকে বক্তাবলী এলাকার নদীর পার্শ্বে সলিম উদ্দীনের ইটের ভাটার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে বান্ধবী মৌসুমীর সহয়তায় বখাটে সুমনের নেতৃত্বে ৫ পাঁচ বখাটে মিলে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে ওই গার্মেন্ট কর্মীকে আটকে রাখে। পরে বখাটেরা মেয়েটির মোবাইল ফোনে তার মায়ের কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে বখাটে সুমন মিয়া, ইমরানসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনসহ মোট ৫জনে মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা পালিয়ে যায় । পরে অসুস্থ ওই গার্মেন্ট কর্মীকে বান্ধবী মৌসুমী তার বাসায় নিয়ে রাখে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগি মেয়েটির মা সিদ্দিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে বান্ধবী মৌসুমীর অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে আরাফাত নগরের একটি বাসা থেকে বান্ধবী মৌসুমী আটক করে পুলিশ।এসময় অসুস্থ অবস্থা ওই গার্মেন্ট কর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে ভূক্তভোগি মেয়েটির মা বাদী হয়ে ৪ জন চিহ্নিত এবং অজ্ঞাত ৩ জনসহ মোট ৭ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ফতুল্লা থানার ইনসপেক্টর) মো. আজিজুল হক জানান, এ মামলার প্রধান আসামী সুমনকে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীকে ফতুল্লা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত সুমন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।