মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এলিজা বেগম (৩০) নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূও লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপজেলার দক্ষিন সাপলেজা গ্রামের শ^শুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, এলিজার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ও শ^াশুড়ি পলাতক।
নিহত এলিজা বেগম উপজেলার দক্ষিণ সাপলেজা গ্রামের নির্মান শ্রমিক নুর আলম পহল্লান এর স্ত্রী ও উপজেলার হাজীগঞ্জ গ্রামের মজিবর রহমান মুন্সির মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর বাবা মজিবর মুন্সি অভিযোগ করেন, পারিবারিক কলহের জেরে জামাই নূও আলম আমার মেয়েকে প্রায়াই মারধর করে আসছিল । বৃহস্পতিবার রাতে মারধর করে হত্যার শ^শুরবাড়ির লোকজন এলিজার মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়। খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মরদেহ মাটিতে ফেলে রেখে জামাই ও মেয়ের শ^াশুড়ি পালিয়ে গেছে। পরে মঠবাড়িয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাজাহার আমিন (বিপিএম) বলেন, পরিবারের অভিযোগে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।