মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) দুই বখাটে কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বাদুরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ মেয়েটিকে তার নানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক রুম্মান পঞ্চায়েত (২৫) ও পান্না পঞ্চায়েত (৩৫) পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত রুম্মান বাদুরা গ্রামের ইউনুচ পঞ্চায়েত ও পান্না ফারুক পঞ্চায়েতের ছেলে। বখাটেরা দু’জনই ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল চালক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির মা সৌদি থাকেন। বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মেয়েটি নাননীর কাছে থাকে। একই এলাকার পান্না পঞ্চায়েত (৩২) মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করত। মেয়েটির নানী স্থানীয় গ্রাম পুলিশের কাছে নালিশও করেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে পান্না পঞ্চায়েত ও তার সহযোগী রুম্মান পঞ্চায়েত মেয়েটির ঘরের দরজা কৌশলে খুলে ভিতরে ঢুকে। এরপর মেয়েটির মুখ কাপর দিয়ে বেধেঁ ঘরের পিছনে বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে ঘরে খুঁজে না পেয়ে তার নানী ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে খোজাখুজি করে বাড়ির পিছনে বাগান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মেয়েটি বলে, আমাকে মুখ বেধেঁ পান্না পঞ্চায়েত ও রুম্মান পঞ্চায়েত ঘর থেকে তুলে বাগোনে নিয়ে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে। ভয়ে আমি চিৎিকার করিনি।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমীন(বিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে ।