পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরে স্বরুপকাঠী উপজেলার বালিহারী গ্রামে তারিকুল (৩২) নামের এক মাদকাসক্তের দায়ের কোপে আপন বোনসহ একই বাড়ির পাঁচজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ঘাড়ের উপর কোপে গুরতর আহত আপন বোন নাছরিন (৩৫) ও প্রতিবেশি কবির মিয়াকে (৩৪) উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বালিহারী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। দায়ের কোপে আহত কবিরের স্ত্রী মুর্শিদা (৩৫) শিশু কণ্যা ঐশি (৮) ও তানজিলাকে (৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ মাদকাশক্ত তারিককে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সুটিয়াকাঠির বালিহারী গুচ্ছ গ্রামে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন তারেকের বাবা মোঃ সিদ্দিক। তারেক বেশ কিছুদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ জন্যে তারেকের স্ত্রী গত দুইমাস আগে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। তারেক মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসেই বাবার কাছে অটো গাড়ির চাবির কথা জানতে চান। এসময় বাবার সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দা নিয়ে বাবা মাকে কোপাতে উদ্ধত হলে বাবা মা দুজনই পার্শবর্তী কবিরের ঘরে আশ্রয় নেয়। তারেক কবিরের ঘরে গিয়ে বাবা সিদ্দিককে মারতে চাইলে কবির বাধা দেয়।
এ সময় তারেকের বোন নাসরিন বাধা দিতে গেলে তার ঘারে ও বাম হাতের বাহুতে দায়ের কোপ লাগে। এসময় প্রতিবেশী কবিরের ছোট শিশু তানজিলার হাতের উপরে দায়ের কোপ লাগে। মেয়েকে বাচাতে গেলে দায়ের কোপে কবিরের হাতের কব্জির উপর থেকে কেটে যায়। তারেক এ সময় কবিরের স্ত্রী মুর্শিদা (২৫)কেও কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয় জনতা পাহাড়াদার দুলালের সহযোগিতায় তারেকে আটক করে গনধোলাই দেয়। আহত বোন নাসরিন ও প্রতিবেশি কবির হোসেনের অবস্থা গুরুতর দেখে তাদেরকে স্বরুপকাঠি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে স্থানাস্তর করা হয়। পাহারাদার দুলাল বলেন, আমি সাহস করে ওকে ঝাপটে না ধরলে আরো দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) কে,এম তারিকুল ইসলাম বলেন, তরিক একজন মাদকাশক্ত। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকালে তার সাথে গাঁজা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে কোপের মামলা সহ মাদক মামলা দায়ের করা হবে।