অনলাইন ডেস্কঃ মঠবাড়িয়ার বর্তমান সাংসদ ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর পিএস মোঃ হাসান মিয়ার ও জনসংযোগ প্রতিনিধি আলী রেজা রঞ্জুর বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল ও টিন আত্মসাৎদের অভিযোগ উঠেছে। ১২ এপ্রিল রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের রত্তন হাওলাদারের পুত্র সৈয়দের ঘর থেকে ৪ বান সরকারি ঢেউ টিন উদ্ধার করা হয়। তিনি বর্তমান সাংসদের পিএস হাসানের মামা। উপজেলা প্রকল্প অফিসার মিলন তালুকদার টিন বিতরনে অনিয়মের ঘটনায় সরিজমিনে উপস্হিত হয়ে অন্য এলাকায় বাস করা সৈয়দের বোন নাজমা বেগমের টিন বলে তদন্ত শেষ করেন। এই দিকে ১৩ এপ্রিল সোমবার হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দঃ গুলিশাখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় জনসংযোগ প্রতিনিধি আলী রেজা রঞ্জু হাওলাদার এর অনিয়মের চিত্র সে তার নিজের গ্রামে নিজস্ব ক্ষমতা বলে যার ঘর নেই তাদের কে টিন না দিয়ে যারা সচ্ছল এই রকম পরিবার কে টিন দিয়েছেন পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ দুই বান টিন ও ছয় হাজার টাকা করে থাকলেও সেখানে এক বান ও তিন হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ মিলেছে তাছাড়া সেখানে এমনও অভিযোগ রয়েছে গতকাল রাতে তার নিজের বাড়ি থেকে এই টিন দেয়া হয়েছে এবং দুই বান করে দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে চার বান করে দেখা গেছে উপস্থিতি স্থানীয় ইউপি সদস্য দুইজন তরুনের নাম দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে যে কাল রাতে সে তার বাড়ি থেকে ভ্যান যোগে টিন সরিয়ে অন্যত্র রেখেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়,বর্তমান সাংসদের পিএস মোঃ হাসান মিয়া ও আলী রেজা রঞ্জু হাওলাদার জনসংযোগ প্রতিনিধি থাকার সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হতদরিদ্র মানুষদের নামে ত্রানের টিন ও ৬ হাজার করে নগদ টাকার চেক ও করোনা দুর্যোগের নিম্ন আয়ের মানুষের বরাদ্দকৃত চাল উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওয়ার্ডে মেম্বরদের সাথে সমন্বয় না করে সংসদ সদস্য মহোদয়ের অনুপস্থিতিতে সমগ্র মঠবাড়িয়ার তাদের আত্মীয়-স্বজন ও এমপির কিছু কর্মীর নামে মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি ত্রান বিতরনে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। আলী রেজা রঞ্জুর সাথে যোগাযোগ করলে সে বলেন আমি এবং হাসান সহ সকলেই দায়িত্ব নিয়েই সঠিক ভাবেই কাজ করেছি।এই মিথ্যা গুজবের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই ইতিমধ্যে যাদের বাড়িতে গিয়ে এই অতিরিক্ত টিন পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা প্রভাকান্ডা ছড়িয়েছে তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আমি ভিডিও আকারে ফেসবুক প্রকাশ করেছি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কঠোর না হলে মঠবাড়িয়ার ত্রান বিতরনে অনিয়ম দূর হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।