ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরিদ্র বিধবা গোলবানু > বৃদ্ধার আবদার পূরন করলেন ডিসি

পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরিদ্র বিধবা গোলবানু > বৃদ্ধার আবদার পূরন করলেন ডিসি

দেবদাস মজুমদার>

নিত্য দিনের মতন আজ মঙ্গলবার সকালে রিকশাযোগে বাড়ি থেকে পিরোজপুরের কাউখালী সদরে আসছিলেন আবদুল লতিফ খসরু । তিনি ওই জনপদের একজন সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবক। পথিমধ্যে রিকশার গতিরোধ করে তাঁর সামনে দাড়ালেন উপজেলার কচুয়াকাঠী গ্রামের বিধবা হতদরিদ্র গোলবানু বেগম। গেলাবানুর দাবি একটাই তাকে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যেতে হবে। অসহায় বৃদ্ধার অনেক দিনের স্বপ্ন তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে তাঁর অফিসে গিয়ে দেখা করবেন । অসহায় বৃদ্ধার আকুতি মিনতিতে সহৃদয় আবদুল লতিফের মন গলে যায়। নাছোরবান্দা গোলবানুর ইচ্ছে পূরণে তাকে তাড়িত করে। অগত্যা তিনি গোলবানুর স্বপ্ন পূরণে তাকে সাথে নিয়ে আজ মঙ্গলবার লঞ্চযোগে পিরোজপুর সদরে যান। তারপর গোলবানুকে নিয়ে তিনি পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। যথারীতি স্বাক্ষাৎ মেলে জেলা প্রশাসকের সাথে বৃদ্ধা গোলবানুর। উভয়ে কুশল বিনিময় করেন। গোলবানুর স্বপ্নটা পূরণে সে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলবানু মাননীয় জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সেখের কাছে আবদার করে বসেন শীত বস্ত্র কম্বল, ও গায়ের চাদর, নিজের জন্য নতুন পাদুকা।

নিজের জন্য তো শীত বস্ত্রের দাবী করলেনই সাথে সাথে নাতি নাতনির জন্য শীত বস্ত্র দাবি করলেন জেলা প্রশাসকের কাছে। অসহায় বৃদ্ধার আবদারে সহৃদয় সাড়া দেন জেলা প্রশাসক। পরোপকারী জন বান্ধব মাননীয় জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সেখ গোলবানুর আবদার পূরণে ব্যস্থা নেন। বৃদ্ধার দাবিমত দুটি কম্বল, গায়ের চাদর ও নতুন পাদুকা প্রদানের দ্রুত ব্যবস্থা নেন। পরে জেলা প্রশাসক তাঁর কক্ষে অসহায় বৃদ্ধা গোলবানুকে আপ্যায়ন করেন । বৃদ্ধা গোলবানুর আজ মহা সুখের একটা দিন কেটেছে।

সামাজিক উদ্যোক্তা আবদুল লতিফ বলেন, অবাক বিশ্বয়ে দেখলাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এ মহতী উদ্যোগ। আমি শুধু মাত্র পথ চলতে সহায়তা করলাম গোলবানুকে। সাথে করে নিয়ে আসলাম, পৌছে দিলাম তার বাড়ীতে। গোলবানু এখন স্বপ্ন দেখে নতুন দিনের। তাই গোলবানু জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি গাভী দাবি করে বসলো। জেলা প্রশাসক মহোদয় গোলবানুকে আসস্ত করলেন আগামীতে কোন এক সময় গোলবানুকে একটি দুগ্ধবতী গাভী। এসময়ে গোলবানুর চোখে মুখে দেখা গেল খুশির ঝিলিক। আর বৃদ্ধা গোলবানু জেলা প্রশাসেকর মঙ্গল কামনা করতে করতে নিজের বাড়িতে ফেরেন।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় গোলবানুর একমাত্র অবলম্বনের একটি দুগ্ধবতী ছাগল মারা গেলে বৃদ্ধা চরম অসহায় পড়েন। পরে তিনি এই হৃদয়বিদারক ঘটনা নিজের ফেসবুকে শেয়ার দেন ও আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইনেও অসহায় গোলবানুর সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষযটি নজরে এলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কাউখালীর কচুয়াকাঠি গ্রামে অসহায় ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দুটি ছাগল ও কাপড়সহ কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন।

 

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...