কাউখালী প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের হত দরিদ্র বিধবা গোলবানু বেগমেকে(৫৫) পুনর্বসন সহায়তা হিসেবে মঠবাড়িয়া প্রবাসি তরুণ ফেরদৌস খান একটি ছাগল প্রদান করেছে। মঠবাড়িয়ার ভিন্ন ধারার অনলাইন পত্রিকা আজকের মঠবাড়িয়ায় সম্প্রতি আহারে কে মারল মোর বাবারে ! এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মঠবাড়িয়ার সৌদি প্রবাসি ফেরদৌস খান ওই বৃদ্ধাকে তার পুুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে একটি ছাগল ও কিছু নগদ অর্থ পাঠান।
সোমবার দুপুরে আজকের মঠবাড়িয়ার উপদেষ্টা সম্পাদক সাংবাদিক দেবদাস মজুমদার কাউখালীর কচুয়াকাঠি গ্রামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ছাগল ও কিছু নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন। এসময় কাউখালীর সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু, মঠবাড়িয়া কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক দেবব্রত হালদার ও কাউখালীর সাংবাদিক সৈয়দ বশীর আহম্মে’দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মৃত ছাগলের শোক ভুলে গিয়ে বিধবা গোলবানু আনন্দে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি তিনি সহায়তাকারী তরুণ ফেরদৌস খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ।
উল্লেখ্য, কাউখালী উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের হত দরিদ্র বিধবা গোলবানুর ১০ বছর আগে দিনমজুর স্বামী হারুণ হাওলাদার অসুখে ভুগে মারা যান । তার বড় ছেলে মিলন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মেঝ ছেলে সুমন রিকশাচালক আর ছোট ছেলে জুয়েল দিনমজুরী করে যে যার মত কোনমতে বেঁচে আছেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বড় ছেলের সাথে থেকে বৃদ্ধা গোলবানু দিনমজুরী করে কোনমতে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটান। দিনমজুরী টাকায় অনেক কষ্টে গত একমাস আগে তিন হাজার টাকায় ছাগলটি কেনেন। প্রতিদিনের মত সড়কের পাশে ঘাস খেয়ে গত শনিবার বিকালে অভ্যসমতই বাড়ি ফিরছিল ছাগলটি। হঠাত একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চাকায় ছাগলটি পিষ্ট হলে গলা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনস্থলেই ছাগলটি মারা যায়। এতে বিধবা চরম কষ্টে পড়ে যান।
Home - উপকূলের মুখ - আজকের মঠবাড়িয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর কাউখালীর অসহায় বিধবা গোলবানুকে মঠবাড়িয়া প্রবাসি ফেরদৌস খানের সহায়তা