কাউখালী প্রতিনিধি >
একটা সময় নদী মাতৃক দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল বাংলাদেশের। সে সময় দেশের অন্যতম মাধ্যম বাহক ছিল নৌকা। নৌকা নিয়ে দুর দুরন্তে ভ্রমন করতেন দেশের মানুষ ও বিদেশী অতিথিরা। ব্যবসা বানিজ্য ছিল নদী নির্ভর। কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে নদী। সেই সঙ্গে হারিয়েছে নৌকা। আর এ এলাকার কোথাও কোথাও চোখে পড়ে ঐতিহ্যবাহী পালতোলা নৌকার ভ্রমনের দৃশ্য। ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। পিরোজপুরের কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্দোগে আজ বুধবার শরতের সকালে সন্ধ্যা নদীল বুকে শিশুদের নিয়ে নৌকা ভ্রমনের আয়োজন করেন কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুল। সন্ধ্যা নদীর সোনাকুর গ্রামের পাল পাড়া থেকে ফেরীঘাট পর্যন্ত শিশুদের নৌকায় ভ্রমন অনুষ্ঠিত হয় । শিশুদের নৌ আন্দ ভ্রমনে সঙ্গী ছিলেন প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ খসরু।
শিশুরা আনন্দ উচ্ছাসে সন্ধ্যা নদীর দুই পাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেন। তাই কবির ভাষায় বলতে হয় আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গরু পার গাড়ী, দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ী। প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আঃ লতিফ খসরু বলেন যান্ত্রিক এযুগে শিশুদের নিয়ে ফিরে গেলাম শৈশবে, সন্ধ্যান নদীর কলতানে ছুটে চলা পাল তোলা নৌকার অপরূপ দৃশ্য। নৌকা আমাদের মনে করিয়ে দেয় শৈশবের অনেক স্মৃতি। মানুষের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে মনে করে না সেই পুরোনো সাদামাটা দিনের কথা। তাই শিশুদের নদীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আমার এই উদ্যোগ।
উপজেলার সোনাকুর গ্রামের নুরুল ইসলামের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে নয়ন হাওলাদার বলে, পাল তোলা নাওয়ে চইড়া ম্যালা মজা পাইছি। অনেক আনন্দ পেয়েছি।
নৌকার মাঝী আবদুল কাদের বলেন, একসময় সন্ধ্যা নদীতে পাল তোলা নৌকা চল সারি সারি । এখন আর তেমনটা দেখা যায়না। শিশুদের পালতোলা নৌকায় চড়ার আনন্দ দেখে আমিও আনন্দ পেয়েছি।