বিশেষ প্রতিনিধি >
শ্রমিক আল-মামুন দুলালের আজ রবিবার কোরবানি ঈদ করতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তবে দুলাল কোরবানির ঈদ করতে নয় বাড়িতে ফিরেছেন অগ্নিদগ্ধ লাশ হয়ে। গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২৭ জন নিহতর মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আল-মামুন দুলাল (৪৫) দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়।
নিহত দুলাল টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেডের পলিপ্যাকেজিং কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের নূরুল আমীন আকনের মেঝ ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক দুলালের আজ রবিবার সকালে কারখানা ছুটি শেষে মঠবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে কোরবানি ঈদ করতে বাড়িতে আসার কথা ছিল। কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে সেখানে কর্মরত দুলাল আগুনে পুড়ে মারা যান। ফলে দুলালের পরিবারে এবারের কোরবানির ঈদ ম্লান হয়ে গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ রবিবার দুপুরে দুলালের লাশ এ্যাম্বুলেন্সযোগে তার নিজ বাড়ি বড়মাছুয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
সূত্র আরো জানায়, টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেডের পলিপ্যাকেজিং কারখানা কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ নগদ ১৭ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে রবিবার দুপুরে দুলালের লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে জোহর নামাজবাদ গ্রামের বাড়িতে দুলালের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দুলালের স্ত্রী খাজিদা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, শনিবার রাতের গাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা ও সন্তানদের সাথে ঈদ করতে আসবে বলে স্বামী দুলাল মোবাইলে জানিয়েছিল। স্বামী বাড়ি ফিরে আসছে লাশ হয়ে। আল্লাহ এ তোমার কোন বিচার! আমি এখন তিনটি সন্তানকে নিয়ে এখন কিভাবে বাঁচব ?