মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের দেড় মণ ইলিশ খাইয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এই ইলিশ খাওয়ানো হয়। দেড় মণ ইলিশ খাওয়ায় এলাকায় চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ইলিশের প্রজনন সময় হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষে তার খাবার ম্যানুতে ইলিশ রাখেননি। তাই তার সম্মানে সারাদেশে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবারের লোকজন ইলিশ খাওয়া বন্ধ রাখলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ্যে ৫শতাধিক লোককে ইলিশ খাইয়েছেন। এতে ছিল চাঁদপুর থেকে আনা দেড় মণ ইলিশ, প্রায় ১০ রকমের ভর্তা ও ভাজি। তাই এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে দেড় মণ ইলিশ আনা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন আহমেদ এর টাকায়।
আশুগঞ্জ উপজেলার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌসি আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা মকবুল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর জ্যেষ্ঠ কোন নেতাকে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ জনিয়েছেন, আসলে আমাদের মাছগুলো আগে থেকে কেনা। তাই আমরা এই মাছগুলো খাওয়াতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ভর্তা ভাজিও ছিল।
জেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য জানিয়েছেন, ইলিশ মাছ সরকারীভাবে খাওয়া দেশে নিষিদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু যেহেতু এখন ইলিশের প্রজননকালীন সময়। সেই সময়ে ইলিশ খাওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া পান্তা ইলিশ আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতির কোন অংশ নয়। সুতরাং যদি আশুগঞ্জের ইউএনও সাহেব ইলিশ খেয়ে বর্ষবরণ করে থাকেন তা নিন্দনীয়। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই।