ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - মঠবাড়িয়ার কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী হাসিবুল জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় তৃতীয় স্থান অর্জন

মঠবাড়িয়ার কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী হাসিবুল জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় তৃতীয় স্থান অর্জন

সবুজ রাসেল >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কেএম লতিফ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর মেধাবি শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম শিপু এবার জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। মেলার তার উদ্ভাবিত আলোচিত ও গুরুত্বপুর্ন প্রজেক্ট ছিলো বহুমূখী সুবিধা সম্বলিত আধুনিক এলাকা এবং ক্লাইমিটি শেল্টার Calamity Shelter .

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ৪০ তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয়-মন্ত্রী – বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী হাসিবুল আলম শিপু তার জনগুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টটির কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানান, ‘’মুলত প্রজেক্টটি ডিজাইন করা হয়েছে বাংলাদেশের দূর্যোগ প্রবণ এলাকার কথা মাথায় রেখে । বন্যা প্রবণ এলাকায় একটি সুবিধা জনক স্থানে ভূগর্ভে ,মাটি থেকে ৩ মিটার গভীরে আশ্রয় কেন্দ্রটি তৈরি করতে হবে ওই এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ঢাকনা বিশিষ্ট বড় বড় কুপ থাকবে, বন্যার পানি একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঢাকনা খুলে যাবে এবং বন্যার পানি ওই কূপে জমা হতে থাকবে। পানির পরিমান আরো বৃদ্ধি পেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে। আমাদের দেশের তথা কথিত সাইক্লোন শেল্টার মানুষ তেমন কোনো সুবিধা পায়না কিন্তু আমাদের এই পদ্ধতি পানির ড্রেনেজ সুবিধা গুলোও পাবে।‘’

এ শেল্টার স্থাপন করলে কি কি সুবিধা হবে প্রশ্ন করলে ক্ষুদে বিজ্ঞানী বলেন, এটি বহুমূখি সুবিধা সম্বলিত, আমাদের দেশে বন্যা ও ঘুর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি অধিকাংশে কমে যাবে এবং এটিই হবে আশ্রয় স্থল , প্রতিবছর উত্তর অঞ্চলের ৭০ ভাগ ফসল নষ্ট হয় এর মাত্রা কমে যাবে , যা আমাদের জাতীয় G.D.P বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি এবং আশ্রয় স্থলটি সারা বছর স্কুল এবং গুদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ‘’

দূর্যোগের কারনে বাংলাদেশের G.D.P অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় , প্রতিবছর উত্তর অঞ্চলের কৃষকদের ১৩-১৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয় , ভয়াবহ বন্যায় শত শত মানুষ মারা যায় , কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয় । এসব ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় প্রজেক্টি খুবই প্রয়োজনীয় এবং বাস্তব সম্মত। ৫০০০ মানুষের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন এই আশ্রয় কেন্দ্র তৈরিতে সর্বমোট খরচ হবে ৭-৯ কোটি টাকা যা প্রতি বছরের ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় অনেক কম। এছাড়া কূপে জমা হওয়া পানি খড়া মৌসুমে এবং লবনাক্ততার সময় সেচের কাজে ব্যবহার করা যাবে।

সর্বপরি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে খুব দ্রুত উন্নতির দিকে আগাবে।

উল্লেখ্য ক্ষুদে বিজ্ঞানী হাসিবুল এর আগে জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় পিরোজপুর জেলায় প্রথম ও বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জণ করেছিল।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...