ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - মঠবাড়িয়ায় জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ এর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ এর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>

ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ভাষা সৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস, পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ এর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকাস্থ মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদ এবং মঠবাড়িয়া মহিউদ্দিন আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রী কলেেেজর উদ্যোগে সকালে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এছাড়া তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মরণ সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা অওয়ামীলীগের সহসভাপতি আরিফ-উল-হক এর উদ্যোগে পৌর শহওে তাঁর অফিস কক্ষে কেক কেটে জনম্বার্ষিকী পালন করা হয়। এছাড়া দোয়া মিলাদ, স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়। অপরদিকে উপজেলার গুলিশাখালীতে মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে স্মরণ সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

অপরদিকে ঢাকাস্থ মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও পুষ্পস্তবক অর্পণসহ মরহুমের ধানমন্ডির বাস ভবনে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল অনুষ্ঠানে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও মরহুমের সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রয়াত জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ ১৯২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি র্বণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অব¯œ ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত আছেন। তার বাবার নাম প্রাক্তন এমএলএ (১৯২০-১৯২৬) প্রয়াত আজাহার উদ্দিন আহম্মেদ।
জাশীয় নেতা মহিউদ্œি আহম্মেদ পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া একক আসনে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনসহ ১৯৭৩, ১৯৭৯, ও ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একজন সুদক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবেও সুনাম অর্জণ করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। শোকাবহ ১৫ আগস্টেও পর আওয়ামীলীগের দু:সময়ে মহিউদ্দিন আহম্মেদ কেন্দ্রীয় আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাকশাল চেয়ারম্যান হন। একপর্যায় বাকশাল বিলুপ্ত করে আবার তিনি আওয়ামী রাজনীতির মূল ধারায় ফিরে আসেন।

নিজ এলাকা মঠবাড়িয়ার জনমানুষের কাছে তিনি পান্না মিয়া ও সকলের শ্রদ্ধেয় চাচা হিসেবে সমধিক পরিচিত।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...