ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - মালিতে নিহত আবুল কালাম আজাদের লাশ সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

মালিতে নিহত আবুল কালাম আজাদের লাশ সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

পিরোজপুর প্রতিনিধি >>

আফ্রিকার মালিতে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্রোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম আজাদের লাশ পিরোজপুরের নাজিরপুরের কলারদোয়ানিয়ায় নিজ বাড়িতে সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পরেন স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ স্বজনরা।
শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা সেনানিবাসে প্রথম জানাযা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আওলাদ হোসেন এবং মালিতে কর্মরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর মেজর শাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে সকাল ১১টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে তার লাশ নাজিরপুর স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তারা নিহত আবুল কালাম আজাদের লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। এরপর সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে কালামের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জুম্মার নামাজের পর গার্ড অব অনার প্রদান করেন সেনা বাহিনীর ৫৫ ব্রিগেডের একটি চৌকশ দল। পরে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাকে মা-বাবার পাশে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিহত কালামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি’র দোয়েঞ্জা নামক স্থানে বিদ্রোহীদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আজাদ সহ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪ সেনা সদস্য নিহত হন। গতকাল তাদের মরদেহ মালি থেকে ঢাকায় আনা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৯নং কলারদোয়ানীয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানীয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের এক মাত্র পুত্র আবুল কালাম ১৯৯২ সালের ২২ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। মা’ বেচে নেই তবে তিন বোন রয়েছে তার। বড় বোন প্রতিবন্দী। নিহত আবুল কালামের দু’ সন্তানের মধ্যে মেয়ে আশনিকা আজাদ ইমা স্থানীয় মুগারজোড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ও ছেলে ফারদিল ইবনে আজাদ বৈঠাকাটা মাতৃছায়া কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। জানাগেছে, জাতি সংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম মালির মোপটি প্রদেশের বোনি ও দোয়াঞ্জা শহরের মধ্যবর্তী একটি সড়কে গাড়িতে টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে অন্যান্য সঙ্গীদের সাথে নিহত হন।
নিহত কালামের চাচাতো ভাই ফিরোজ বলেন, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিলো। ভাবির সাথে ভাইয়ের ছিলো অটুট বন্ধন। তিনি কি করে মেনে নিবেন। ছেলে মেয়ে দুটো বা কিনিয়ে বাঁচবে। আমার ওই ভাইই ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

 

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...