মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
এক গ্রাম্য ডাক্তারের অপচিকিৎসায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইমরান (৯) নামে এক স্কুল ছাত্র মৃত্যু পথযাত্রী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইমরান মঠবাড়িয়া উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মো. বাবুল হাওলাদারের ছেলে এবং ৫৭নং আন্ধারমানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। ক্যান্সারে আক্রান্ত ইমরান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইমরানের বাবা বাবুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে ইমরানের গলায় ছোট্ট একটি টিউমারের মত দেখা যায়। চিকিৎসার জন্য উপজেলার বান্ধবপাড়া গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মো. আবুল কালাম এর কাছে নিয়ে গেলে তিনি সাথে সাথে সেখানে অস্ত্রপাচার করে চামচের মতো একটি অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। অস্ত্রপাচারের পরে রক্ত নিয়ন্ত্রন করতে না পারায় ইমরানের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশু ইমরান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম আমিরুল ইসলাম খশরুর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও জানান, গ্রাম্য ডাক্তারের অপচিকিৎসায় ছোট ছেলে ক্যান্স্যারের চিকিৎসায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। তিনি গ্রাম্য ওই ডাক্তারের বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে গ্রাম্য চিকিৎসক আবুল কালাম প্রথমে স্কুল ছাত্র ইমরানের টিউমারে অস্ত্রপাচারের কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে পুঁজ বের করে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল অসহায় স্কুল ছাত্র ইমরানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। যোগাযোগের ঠিকানা ০১৭৩৬১০৪৯২০ (বাবুল হাওলাদার)।