মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি↪️
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফারজানা আক্তার নাজমা (২২) নামে এক গৃহবধূ গত এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের দাবি বাদুরা গ্রামের আল মাসুদ (২০) নামে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ওই গৃহবধূ পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগি গৃহবধূর বাবা মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গত এক মাসেও ওই গৃহবধূর সন্ধান মেলেনি।
পুলিশ এ মামলার আসামী মাসুদের বাবা শাহ আলম ফরাজী ও তার মা ফিরোজা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলেও ঘটনার মূল হোতা মাসুদসহ অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
অপহৃতা গৃহবধূ নাজমা উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের জালাল পঞ্চায়েতের মেয়ে । সে পার্শ্ববর্তী মিরুখালী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামের মো শাহ আলম ফরাজীর ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আল মাসুদ (২০) দীর্ঘদিন ধরে নাজমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। এতে সাড়া না দেয়ায় গত ২৪ শে আগস্ট নাজমা সকালে স্থানীয় বাদুরা বাজারে যাওয়ার পথে শিশু নিকেতন কিন্ডার গার্টেনের সামনের সেতুর ওঠার ওপর পূর্বে ওঁৎ পেতে থাকা আল মাসুদ ও তার কয়েক সহযোগি চেতনা নাশক ঔষধ মেশানো রুমাল নাজমার নাকে চেপে ধরে অজ্ঞান করে । পরে বখাটেরা মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অপহৃতার গৃহবধূর বাবা জালাল পঞ্চায়েত বাদী হয়ে অভিযুক্ত আল মাসুদসহ চারজন এজাহার নামীয় ও আরও দুই জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন যে, ১ নং আসামী আল মাসুদ অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগিতায় তার মেয়েকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ, মুক্তিপণ দাবি, পতিতালয়ে বিক্রি অথবা খুন করিয়া লাশ গুম করতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে জানান, ইতিমধ্যেই এ মামলার দুই আসামী শাহ আলম ও ফিরোজা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রধান আসামী মাসুদসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও অপহৃতা নাজমাকে উদ্ধারের পুলিশের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।