ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - গণতন্ত্রের প্রয়োজনে ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন : পাথরঘাটায় ঢাবি নতুন উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান

গণতন্ত্রের প্রয়োজনে ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন : পাথরঘাটায় ঢাবি নতুন উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান

মির্জা খালেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) >>

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যহত রাখতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অগ্রনী ভুমিকা রয়েছে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখতে ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপাচার্য গত সোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপকূলীয় বরগুনার পাথরঘাটায় নিজ গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামীন শিক্ষার্থীদের অধিক সুযোগ আছে বলেও মতামত ব্যক্ত করেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাস্ট্রপতি কর্তৃক ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার পর তার গ্রামের বাড়িতে বসে তার সাথে কথা হয়। তার গ্রাামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা কালে বলেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরী বিষয়, গনতন্ত্রের জনই এটার প্রয়োজন তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়র কোন একক ব্যাক্তির মত ও অভিব্যক্তির উপর এটা নির্ভর করে না। গণতান্ত্রিক রীতি নীতির দ্বারা এটা পরিচালিত হয়। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে এ বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। গণতন্ত্র এর মৌলিক বৈশিষ্ট। এখানে গনতান্ত্রিক একটি আইন চালু আছে। যা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে উপহরা দিয়ে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল পরিবারে যারা প্রবেশ করে ও সদস্য হয় তারাও মানবিক এবং গণতান্ত্রিক মূল বোধে প্রবেশ করে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে একটি জরিপের বরাত দিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিবদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গ্রামীন শিক্ষার্থীরাই বেশী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়, গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা যে ভাল লেখা পড়া করে তাতে তার ইঙ্গিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল ব্যবস্থাপনার কারণে ভর্তির সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে । আমি নিভৃত পল্লীর কৃষক পরিবার থেকে থেকে উঠে এসে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের বীজ বপন করে গেছেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে। আজকের উন্নয়নের দিকে লক্ষ করলেই বোঝা যাবে। আমার অজ পাড়া গায়ে পাকা রাস্তা ও পাকা ভবন, বিজলীতে বাতি জলে এটা উন্নয়ের ছোট একটি উদাহরণ। এ উদারণ বাংলাদেশের সবর্ত্র।

তার নতুন দায়িত্ব পালনে তার অবস্থান কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মার্টিন লুথার কিং ও জাতীর জনকের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যে খানেই কাজ করিনা না কেন সে কাজটি যেন ভাল ভাবে করতে পারি। এটা জীতির জনকের জীবন দর্শণ মনে করে কাজ করে যাব।
জনাব আখতারুজ্জামান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য( প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মেধাবী ড. আখতারুজ্জামান লেখাপড়া করেছেন তার নিজ গ্রামের দক্ষিন পূর্ব কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বারিকা নাথ র্কীতনীয়া ছিল তাকে গড়ে তোলার প্রথম ও প্রকৃত কারিগড়। ১৯৭৯ সালে এসএসসি পাশ করেছেন উপজেলার কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যলয় থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্নাস ও মাষ্টাস পাশ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে তিনি প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ২০০৪ সাল থেকে তিন বছর শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

Leave a Reply

x

Check Also

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে ...