মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া চুন্নু হাওলাদার(৩০)নামে এক যুবলীগ নেতাকে দুর্বত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে। আজ সোমবার দুপরে উপজেলার গুলিসাখালী বাজার সম্মূখ সড়কে ওই যুবলীগ নেতা এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। আহত যুবলীগ নেতা চুন্নু গুলিসাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আহত যুবলীগ নেতার বড় ভাই মুদি দোকানী নান্না হাওলাদারের কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গুলিসাখালী গ্রামের রণি তালুকদারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবলীগ নেতাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবলীগ নেতা চুন্নু হাওলাদারের বড় ভাই মুদি ব্যবসায়ি নান্না হাওলাদার অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে গুলিসাখালী গ্রামের লোকমান তালুকদারের ছেলে রণি তালুকদার স্থানীয় জালাল খাঁয়ের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করে আসছিল। ওই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ব্যবসায়ি নান্না হাওলাদারের ওপর সে ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে আজ সোমবার দুপরে ব্যবসায়ি নান্নার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা চুন্নু হাওলদার ভাইয়ের দোকানের মুদি মালামাল কিনতে মোটরসাইকেলযোগে মঠবাড়িয়া যাচ্ছিল। পথে গুলিসাখালী বাজারের সামনের সড়কে প্রতিপক্ষ রণি তালুকদার ও তার দলবল ওই যুবলীগ নেতার চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঠবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রফিউদ্দিন ফেরদৌস আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালে আহত যুবলীগ নেতাকে দেখতে যান।
এ হামলার ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তৃতি নিচ্ছেন।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রনি তালুকদারের চাচা স্বপন তালুকদার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় একটি স্লুইজগেটে জালাল খাঁয়ের জাল পাতা নিয়ে চুন্নুর সাথে বিরোধ হয় এসময় সে রণিকে গালাগালি করে। এ নিয়ে রনির সাথে চুন্নুর সাথে কথার কাটাকাটি নিয়ে হাতহাতি হয়। চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম তারিকুল ইসলাম বলেন, হামলার বিষয়টি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। তবে এ ব্যাপারে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।