ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া উদ্দিনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা : আগামীকাল পিরোজপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া উদ্দিনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা : আগামীকাল পিরোজপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

ঢাকা প্রতিনিধি >>

মহান মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত মেজর(অব:) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদের মরদেহ আগামীকাল সোমবার পিরোজপুরে আনা হবে। আগামীকাল সোমবার দুপুর ২টায় পিরোজপুর জিলা স্কুল মাঠে জানাজায় অংশ নেবেন পিরোজপুরের সরব স্তরের মানুষ। জানাজা শেষে তাঁকে পাড়েরহাটে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে ।

এর আগে আজ আজ রবিবার বিকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এসময় রাষ্ট্রীয়ভাবে এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে বিকাল ৩টার দিকে জিয়াউদ্দিনের কফিন নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল জাতীয় পতাকায় মোড়ানো এই মুক্তিযোদ্ধার কফিনের সামনে গার্ড অব অনার দেয়।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে মেজর জিয়াউদ্দিনের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, জাসদ, পিরোজপুর সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জিয়াউদ্দিনের, শনিবার রাতে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে রাখার পর সকালে মরদেহ নেওয়া হয় তার ধানমন্ডির বাসায়।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে মেজর এম এ জলিলের অধীনে সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সুন্দরবন অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউদ্দিন। জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর সুন্দরবনে আশ্রয় নেন। পরে সুন্দরবনে সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার হন তিনি। সামরিক আদালতে বিচারের নামে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পাশাপাশি জিয়াউদ্দিনকেও ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আশির দশকে এইচ এম এরশাদ সরকারের সময় বেশ কিছুদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থানের পর দেশে এসে নিজের এলাকা পিরোজপুরে আসেন। এই মুক্তিযোদ্ধা পরে ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন। স্থানীয়ভাবে তাকে ডাকা হত সুন্দরবনের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ নামে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সুন্দরবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ‌‘সুন্দরবন সমরে ও সুষমায়’ নামে একটি বই রয়েছে তার।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...