আব্দুল লতিফ খসরু >.
শাহ আলমের বয়সটা স্কুলে যাওয়ার। সহপাঠিদের সাথে দুরন্ত শৈবব কাটানোর সময়। ’ সমাজের আরও পাঁচটা ছেলের মত হাসি ও আনন্দের মধ্যে থাকার কথা ওর। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস এক দূর্ঘটনায় ওর বা পাটি পঙ্গু হয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে ওর সুচিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। শিশু শাহ আলম এখন পঙ্গু। পরিবারের বোঝা হয়ে সে এখন পথের ভিখারী। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় শাহ আলমের বাবার পক্ষে ওর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালী ইউনিয়নরে জানখালী নতুন বাজারের দরিদ্র বাবা খলিলুর রহমান ও মা মাজেদা বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে শাহ আলম বড় সন্তান।
পথ চলতে চলতে দেখলাম কাউখালী উপজেলা সদরে পঙ্গু শিশু শাহআলম চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতছে। আর চিৎকার করে বলছে আমি বাঁচতে চাই আমাকে বাঁচান ! কিছু খাবার আর সামান্য কিছু অর্থ দিলাম ওর হাতে। কিন্তু ওর সুস্থ জীবনে ফিরতে হলে তো সহৃদয় আরও্ মানুষের সহায়তা প্রয়োজন।
শাহ আলম সুস্থ জীবনে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতেন। নিরুপায় শিশুটি এভাবে পথের মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসার অভাবে সে এখন মানবতর জীবন যাপন করছে। তার বা পাটি এমন এক অবস্থায় দাড়িয়েছে যে পাটি পচন ধরেছে। এখন ওর প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। আর ওর এই আত্মচিৎকার শুনে ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম আপ্যায়ন করলাম এবং ওকে সাহস যোগালাম।আর ওর কাছে শুনলাম ওর জীবন যুদ্ধের গল্প। আমার সাদ্য মত সহায়তা করলাম। কিন্তু ওর চিকিৎসা টা অনেক ব্যয় বহুল।জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা (অপারেশন) না হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই ওকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে পারেন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সংস্থা। ওর উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহবান জানাই।
আসুন সবাই মিলে পঙ্গু শাহ আলমের পাশে দাড়াই।