পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি প্রবীন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ আলী হায়দার খান আর নেই। ৭৭ বছর বয়সে আজ সোমবার ভোর রাত তিনটার দিকে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি অইন্না……… রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি, ডায়েবেটিস ও বার্ধক্যজনিত কারনে ভুগছিলেন। প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ও বিজ্ঞানী জাফর ইকবালের ভগ্নিপতি আলী হায়দার খান স্ত্রী অব:অধ্যাপিকা সুফিয়া হায়দারসহ তিন কন্যা রেখে গেছেন। আজ (মঙ্গলবার) মরহুমকে দুপুরে যোহর নামাজ বাদ পিরোজপুর সরকারী স্কুল মাঠ ঈদগাহ ময়দানে জানাজা নামাজ শেষে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় পৌর কবরস্তানে দাফন করার কথা রয়েছে।
আলী হায়দার খান ১৯৩৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের তেজদাসকাঠি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা হাশেম আলী খান এবং মাতা সায়রা বানু। প্রবীন এ রাজনীতিবিদ ১৯৬৩ সালে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) ছাত্র সংসদের জি এস নির্বাচিত হন। ওই বছর পুর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খানকে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে আন্দোলন করার অপরাধে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বছরের জন্য বহিস্কার করা হয় এবং নিরাপত্তা রাজবন্দী হিসেবে দু’বছর জেল খাটেন। ১৯৬৫ সালে তিনি পুনরায় ইকবাল হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তাকে পাকিস্থান দেশ রক্ষা আইনে গ্রেফতার হয়ে কারাবরন করেন। ১৯৬৯ সালে কেন্দ্রীয় ন্যাপের নেতা হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্তে পিরোজপুর চলে আসেন ও মহাকুমা আইনজীবী সমিতিতে যোগ দেন।
১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পিরোজপুরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ৪ জনের কমান্ড কাউন্সিল গঠিত হলে তিনি সেই কাউন্সিলের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলার দ্বায়িত্বে থেকে এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। তীব্র যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে গিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পের দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে আমৃত্যু দলের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।