মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আয়শা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামে স্বামীর বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আয়শার স্বামী জেলে রুহুল আমীন কবিরাজ স্ত্রীর লাশ বসতঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর এ মৃত্যুকে দাম্পত্য কলহের জের ধরে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে পরিবারের অভিযোগ আয়শার স্বামীর নির্যাতনে নিহত হলে লাশ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের মনা কবিরাজের ছেলে রুহুল আমীন কবিরাজের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভোলমারা গ্রামের আবুল হাসেম খানের মেয়ে আয়শা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। একপর্যায়ে আয়শা অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কয়েক দফা সালিসি বৈঠক করেন। গত শনিবার উভয়ের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারমানের হস্তক্ষেপে আয়শা তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান। আজ শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা বসতঘরে আয়শার লাশ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী রুহল আমীন পলাতক।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. কবির খান অভিযোগ করেন, তার দুলাভাই সম্প্রতি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে তার বোনের সঙ্গে কলহ সৃষ্টি হয়। বোনের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় গত শনিবার বোনকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কবির খান দাবি করেন, তার বোনকে স্বামী মেরে লাশ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যা না আত্মহত্যা- তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। ‘ এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।