ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - নাট্যকার ও নির্দেশক মোহসেনুল মান্না

নাট্যকার ও নির্দেশক মোহসেনুল মান্না

আল আহাদ বাবু >>

স্রোতস্বিনী বলেশ্বর,মৃতপ্রায় হলতা আর পোনা নদীর তীর ঘেঁষে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা মঠবাড়িয়া উপজেলা।ঐতিহ্যবাহী এই উপজেলা অনেক পূর্ব থেকেই শিক্ষা,ক্রীড়া,সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত,এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ।

এই প্রতিষ্ঠানটি কিছুদিন পূর্বে একটি অবহেলিত প্রতিষ্ঠান বলে প্রচলিত ছিল,শুধুমাত্র গুটিকয়েক আলোকিত মানুষের হৃদয়ের শুভ্রতায় আজ সেখানে স্থাপিত হয়েছে সভ্যতা,শিক্ষা ও সংস্কৃতির নতুন ইতিহাস,

.মোহসেনুল মান্না পেশায় একজন শিক্ষক হলে তিনি উপকূলের একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মঠবাড়িয়া পল্লী অঞ্চলেরই কৃতি সন্তান ।

 

তিনি মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কৃতিত্ত্বের স্বাক্ষর বহন করে চলেছেন,প্রতিষ্ঠানটির পড়ালেখার মান,অভ্যন্তরীন নিয়ম-শৃঙ্খলা,সংস্কৃতিচর্চার উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি যথেষ্ট গৌরবদৃপ্ত ভূমিকা এবং পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কোনো সভ্যতা,সংস্কৃতি অথবা কৃতিত্ত্বপূর্ন অবদানের পিছনে নিহিত থাকে কিছু নিবেদিত প্রানের আত্নত্যাগ,আদর্শ ও আলোকিত মানুষেরাই পারে সমাজকে বদলে দিতে।

প্রতিভাবান এই প্রভাষক মঞ্চের একজন দক্ষ অভিনেতাও,কলেজের শিক্ষার্থীদের তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সাহিত্য-শৈলির চর্চা,বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকান্ডের সাথে অংশগ্রহন করানোর মাধ্যমে একটি আদর্শ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

নিজের নাট্য রচনা সর্ম্পকে মোহসেনুল মান্না সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেন,”আমার অভিনীত নাটিকার সংখ্যা ১২ টি,নিজের লেখা নাটিকা:রহমত চাচার ব্লাড প্রেসার,মামা-ভাগ্নে,ভাষা গরু তুমি এসোনা কেন্দ্র,সাধুর নাও। এগুলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়েছে।

নাটকে প্রথম নির্দেশনা দেয়া হয়,কে এম লতীফ ইনিস্টিটিউশনের শিক্ষক মনিরুজ্জামান স্যারের লেখা ‘ফিরে আসা’ নাটকে।এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে জহির রায়হান থিয়েটরে ২০১১ সালে মঞ্চায়িত হয়।

নির্দেশনার পাশাপাশি নিজেও অভিনয় করেছি,দ্বিতীয় নির্দেশনা দেয়া হয়,আমার নিজের লেখা’রূঢ়’নাটকে এটিও জহির রায়হান থিয়েটারে ২০১২ সালে দুইবার মঞ্চায়িত হয়।”ভবিষ্যতে সময় সুযোগ পেলে আবারও কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মঞ্চ নির্দেশনা ও মঞ্চে অভিনয়ের ইচ্ছা আছে বলে জানান তিনি।

তিনি সম্প্রতি সময়ের দুটি নাটকের অভিনয় ও নির্দেশনার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন:”পহেলা বৈশাখে দুটি নাটিকা ‘ক্লাসরুম’ ও ‘ভাইভা’ মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজে এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মঞ্চায়িত হয়।

পাশাপাশি আমার ভাই হাসানুল বান্নার লেখা_(বাবার বিয়ে)নাটিকাতেও অভিনয় করেন তিনি,যেটি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।এই নাটিকাতেই তিনি জীবনে প্রথম নৃত্য প্রদর্শন করেন, এ জন্য তাঁকে ১১ দিন টানা রিহার্সেল করতে হয়েছিল।

মোহসেনুল মান্না আসলে একাধারে গুণি শিক্ষক আর আমাদের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথ প্রদর্শক।

তিনি আমাদের ছাত্রজীবনের একটি সোনালী অর্জন।আমরা সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ শ্রদ্ধ্যয় স্যারের সার্বিক সাফল্য,সুস্বাস্থ্য এবং সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামনা করছি।

 

লেখক:আল আহাদ বাবু, শিক্ষার্থী, মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ

 

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...