ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়িকে হত্যা

মঠবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়িকে হত্যা

দেবদাস মজুমদার >>

.পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মো. নাজমুল হক খান (৫০)নামে এক ব্যবসায়িকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন শ্যালক ও শ্যালকের ছেলে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটখালী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ওই ব্যবসায়ি হত্যাকান্ডের শিকার হন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রথম স্ত্রীর ছোট ভাই তুহীন সরদার(১৮) ও বড় ভাইয়ের ছেলে হাসিব সরদার(২০) মিলে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে। পুলিশ বিকালে নিহত ব্যবসায়ির লাশ মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে উদ্ধার করেছে।
নিহত মো. নাজমুল হক খান মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের সাপলেজা গ্রামের মান্নান খান ওরফে আয়নাল খলিফার ছেলে। সে ক্রোকারিজ মালের পাইকারী ব্যবসা করে আসছিলেন। তার দুই সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামের মো. কাঞ্চন সরদারের বড় ছেলে মো. শাহীন সরদারকে অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত হত্যা করে।ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত শাহীনের পরিবারের লোকজন আপন ভগ্নিপতি ব্যবসায়ি নাজমুল হক খান দায়ি করে নিহত শাহীনের স্ত্রী হোসনে আরা বাদী হয়ে ননদ জামাই ব্যবসায়ি নাজমুল হক খান ও তার এক ভাইকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলা দায়ের পর ব্যবসায়ি নাজমুলের সাথে শ্বশুর বাড়ির বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি নাজমুল শ্বশুর বাড়ির সাথে একটি মীমাংশার চেষ্টাও চালায়। রবিবার রাতে মঠবাড়িয়া পৌরশহরের একটি বাসায় নাজমুলের উপস্থিতিতে দুপক্ষে একটি বৈঠকও হয়। সেখানে নিহত শ্যালক শাহীনের পরিবার হত্যা মামলা তুলে নিতে ১১ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু নাজমুল দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তা মেনে না নেয়ায় বিষয়টি অমীমাশিংত থাকে। সোমবার সকালে নাজমুলের স্ত্রী হোসনে আরা কাজল স্বামী নাজমুল কে বিরোধ মেটানোর কথা বলে বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল ১০টার দিকে নাজমুলের সাথে শ্বশুর পক্ষের লোকজনের বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায় সে রাগ করে শ্বশুরের বসতঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় পিছন দিক থেকে শ্যালক তুহীন সরদার, শাহীনের ছেলে হাসিব সরদারসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে কুড়াল দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় কুড়ালের কোপে নাজমুলের মাথা ও ঘারে গুরুতর জখম হয় এবং বাড়ির উঠানে লুটিয়ে পড়ে। পরে আহত অবস্থায় তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজমুলকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত নাজমুলের লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার(মঠবাড়িয়া –ভান্ডারিয়া সার্কেল) মো. শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নাজমুলের মৃতদেহ উদ্ধার করি। পরিবারের সাথে কথা বলে প্রাথমিক বাবে ধারনা করা হচ্ছে নাজমুলের শ্যালক তুহিন ও বড় ভাইয়ের ছেলে হাসিব সরদার পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...