ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - দৃশ্যকাব্য

দৃশ্যকাব্য

মেহেদী হাসান >

রজনীকান্ত আইয়ার কে বলা হয় দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার। ঠিক সেভাবেই দক্ষিণ বাংলার সুপারষ্টার দেবদাস মজুমদার। ছবিতে আমার ডানে ক্যামেরা হাতে যে মানুষটিকে দ্যাখা যাচ্ছে তিনিই আমাদের দেবুদা। পেশায় একজন সংবাদকর্মী। বর্তমানে দৈনিক কালের কন্ঠের দক্ষিণাঞ্চল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তিনি একজন সৌখিন ছবিয়াল। কথিত আছে দেবুদার তোলা ছবিতে মানুষ নিমগ্ন হয়ে তাকিয়ে থাকে, এতে নাকি জীবনের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যায়। আর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অত্র অঞ্চলের মানুষের সুখ দুঃখ বিষাদ অনুভূতি নিয়ে তার লেখাগুলো পড়ে কখনো কখনো নাকি মানুষ অগোচরে চোখের জল ফেলে এবং কখনো সাহসী হয়, আত্মোদ্যম ফিরে পায়। আমার দ্যাখা দেবুদা একজন উদাস মানুষ।
দেবুদার ডান পাশে আজিজুল হক তানভীর ফরাজী: একজন সংগ্রামী ও সমাজ সচেতন মানুষ। তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ভাই হিসেবে। পরবর্তীতে জানতে পারলাম তিনি আমার খালু সাহেবের মামাতো ভাই। এবং তিনি আমার চাচ্চু। আমাদের বরেণ্য অঞ্চল গুলিশাখালির সন্তান হিসেবে গর্বিত এবং তিনি নিজেকেও একজন বরেণ্য মানুষ বলে দাবী করেন। এবং আমি আশাবাদী তিনিও একদিন দেশ বরেণ্য হবেন।
তার ডানে শাকিব খান: সুদর্শন বালক। প্রথম বার সাহিত্য আসরে যখন তার নাম শুনলাম তখন হঠাৎ চমকে গেছিলাম। আমাদের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতার মতো তিনিও বিখ্যাত হোক।
তারপর মাসুম বিল্লাহ: একজন উদ্যমী তরুণ সাহিত্য ও সাংস্কৃতির দিকে তার তুমুল ঝোঁক। তিনি স্বপ্ন দেখেন মঠবাড়িয়া উপজেলা একটা আধুনিক জনপদ হয়ে গড়ে উঠবে। একটি সুন্দর বাংলাদেশ হবে যেখানে অলিতে গলিতে থাকবে জ্ঞানী ও গুণী মানুষের সমারোহ। আমি প্রত্যাশা করি তার স্বপ্ন সত্যি হবে একদিন।
এরপর আবার আমার ডানে রিয়াজুল ইসলাম: মধুকন্ঠা এক যুবক। মানুষের কন্ঠে এতো সুর, এতো মধু থাকে; এটা সৃষ্টিকর্তার অনন্য দান। সম্ভবত সৌভাগ্যবানদের কন্ঠেই স্রষ্টা এতো মধু দিয়ে থাকেন।
তারপরে যে যুবক: নাম মনে নেই। অথচ এই যুবকের মধ্যে আমি উদ্যম দেখেছি। তিনি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক।
ব্যাগ কাঁধে পাঞ্জাবি গায়ে যে ছেলেটি: আহমেদ ফিরোজ একজন মিষ্টার পারফেক্ট হয়ে উঠবেন যদি তার মেধার যথেষ্ট ব্যবহার ও চর্চা চালিয়ে যায়। কবিতার প্রতি তার ভীষণ আকুলতা। তিনি ভালো আবৃত্তি করেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি যখন তিনি আবৃত্তি করেন তখন শ্রোতারা নিশ্চুপ নিমগ্ন হয়ে থাকেন।
এবার বলি যিনি ক্যামেরার ছিলেন: সজিব মিত্র একজন কোমল মনের মানুষ। শহরের বঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের জন্য নিঃস্বার্থ, নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষকে ভালোবাসা এবং সেবা মানেই ঈশ্বরকে ভালোবাসা ও ঈশ্বরের সেবা। আর ঈশ্বরের সাথে যার প্রেম তিনিই আসল প্রেমিক। সুন্দর ছবি তুলে দেয়ার জন্য তাকে অনেক ভালোবাসা জানাই।
যাদের কথা লিখলাম তারা সবাই লেখালিখির সাথে জড়িত অর্থাৎ নীতিগত ভাবে ঐক্যবদ্ধ। সবাইকে আমি ভালোবাসি।এইসব ভালো মানুষের মধ্যে যে একটা আমি দাড়িয়ে; সে আমি একজন যথেষ্টাতিরিক্ত অসামাজিক এবং একজন না মানুষ।
তবুও আমি
মানুষের সাথে মিশে থাকি; মিশে থাকি নাগরিক ধুলো প্লাবনে।

লেখক : সাদা কাঁক(মেহেদী হাসান), পাঠাগার আন্দোলনের কর্মী
১৫ ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।

ছবি > সজীব মিত্র

 

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...