ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - কলাগাছের শহীদ মিনারে মাতৃভাষা দিবস পালন : কাউখালীর যমজ দুই সহোদর শিশু সংবর্ধিত

কলাগাছের শহীদ মিনারে মাতৃভাষা দিবস পালন : কাউখালীর যমজ দুই সহোদর শিশু সংবর্ধিত

কাউখালী প্রতিনিধি >

স্কুলে শহীদ মিনার নেই তাই বাড়ির কাছে সন্ধ্যা নদী তীরে কলাগাছের শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষা শহীদরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে যমজ দুই সহোদর শিশু মুরাদ হোসেন ও রিয়াজ হোসেন। সহোদর শিশু দুটি পিরোজপুরের কাউখালীর ১৪ নম্বর মধ্য সোনাকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখা পড়া করছে। মাতৃভাষা ও ভাষা শহীদদের প্রতি শিশু দুটির চেতনাকে সম্মান জানাতে আজ বৃহস্পতিবার নিজ স্কুলে সংবর্ধিত তাদের করা হয়। কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্যোগে যমজ দুই সহোদরকে ফুল ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় যমজ দুই শিক্ষার্থীর বাবা গ্রাম পুলিশ মো. মনির হোসেন ও মা হাফিজা বেগমকেও অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ খসরু দুই সহোদরের হাতে উপহার হিসেবে শহীদ মিনারের একটি মডেল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের একটি মডেল তুলে দেন। এছাড়া তাদের শিক্ষা উপকরণ হিসাবে খাতা, কলম, কাগজ ও দুটি ছাতা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ্ ফকির, দুই সহোদর শিশর বাবা মনির হোসেন ও শক্ষার্থী মুরাদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী সোনাকুর গ্রামের বসবাসরত গ্রাম পুলিশ মনির হোসেনের যমজ দুই সন্তান মুরাদ হোসেন ও রিয়াদ হোসেন বসতবাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদী তীরে কলাগাছ ও মাটি দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে সহপাঠিদের নিয়ে এবারের মাতৃভাষা দিবস পালন করে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন বলে, আমাদের বিদ্যালয় কোন শহীদ মিনার না থাকায় কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে মাতৃভাষা দিবস পালন করেছি। আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার চাই।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...